মিয়ানমারে বন্দীদের মুক্তি শুরু, রাজবন্দীরা নেই

মিয়ানমারের নতুন সরকার সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রায় ১৪ হাজার কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুই হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া হাজার হাজার বন্দীর কঠোর সাজা কমানো হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরকারের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার কৌশল হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, দেশটির বিভিন্ন কারাগারে এখনো হাজার হাজার রাজবন্দীকে আটক রাখা হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্তত দুই হাজার ২০০ জন রাজবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া বন্দীরা বেশির ভাগই সাধারণ অপরাধী। এর মধ্যে রাজবন্দীর সংখ্যা খুবই কম। ১৯৮৮ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে নামা বিপুলসংখ্যক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে তৎকালীন সেনা শাসক আটক করেন। পশ্চিমা দেশগুলো অনেক দিন ধরে তাঁদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশেষ দূত বিজয় নামবিয়ার মিয়ানমার সফরকালে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। এর কয়েক দিন পর প্রেসিডেন্ট থিন সিন এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। গতকাল প্রায় দুই হাজার বন্দীকে ইয়াঙ্গুনের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা ইউএস ক্যাম্পেইন ফর বার্মার পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার ব্যর্থতা এটাই প্রমাণ করে যে মিয়ানমারের নতুন সরকারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের কোনো ইচ্ছা নেই।

No comments

Powered by Blogger.