আমির-তোপের পর ট্রট-ব্রড

শেষ সেশনের শুরুতে মোহাম্মদ আমিরের হাতে বল তুলে না দিয়েই কি তবে ভুল করলেন সালমান বাট?
প্রথম দুটি সেশনের শুরুতেই ইংল্যান্ডকে কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন আমির। কাল খেলা শুরুর মিনিট পনেরো পর আমিরের বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়াল এ রকম—২.৩-২-০-৪! পুরো সেশনে পরে আর কোনো উইকেট পড়ল না। দ্বিতীয় সেশন শুরুর মিনিট দশেক পর আমিরের বোলিং বিশ্লেষণ—২-১-১-২। এই সেশনেও পরে আর কোনো উইকেট নেই। তৃতীয় সেশনের শুরুতে আমিরও নেই, উইকেটও নেই। বরং ১০২ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ট্রট ও ব্রড, শেষ সেশনে সেটিকেই পূর্ণতা দিলেন অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন ইতিহাস গড়ে।
২৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিন শেষ করেছেন দুজন, অষ্টম উইকেটে ইংল্যান্ডের প্রায় ৮০ বছরের পুরোনো রেকর্ড ছুঁতে আজ প্রয়োজন আর মাত্র ২ রান। সিরিজে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রট পেয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় আর লর্ডসে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। টেস্ট, ওয়ানডে, প্রথম শ্রেণী—সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়েই প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। স্টুয়ার্টের ইনিংসটিতে গর্বে বুক ভরে যাওয়ার কথা বাবা সাবেক ইংল্যান্ড ওপেনার ক্রিস ব্রডের।
আগের টেস্টে ইংল্যান্ড ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর প্রিয়রের সঙ্গে ১১৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। ব্রড কাল দাঁড়িয়ে গেলেন ট্রটের সঙ্গে। আগের টেস্টের মতো এবার আর সহযোগীর ভূমিকায় নয়, ২৪৪ রানের জুটিতে এই বাঁহাতি করেছেন ১২৫ রান, ট্রট ১০৪। একসময় ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার সমস্যার সমাধান মনে করা হয়েছিল ব্রডকে। কিন্তু গত কিছু দিনে যেন রান করতে ভুলেই গিয়েছিলেন। তবে আবার প্রমাণ দিচ্ছেন নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের। মাঝের খারাপ সময় কাটিয়ে ‘দক্ষিণ আফ্রিকান’ ট্রট তো এখন তিন নম্বরে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ভরসা।
ট্রট-ব্রডের কীর্তিতে চাপা পড়ে যাওয়ার জোগাড়, অথচ দিনটা হতে পারত শুধুই আমিরের। প্রথম দিনের অর্ধসমাপ্ত ওভারের শেষ বলে কাল তুলে নেন অ্যালিস্টার কুককে। পরের ওভারে প্রথম বলে আউট করেন পিটারসেনকে, দুই বল পরে পল কলিংউডকেও। ১ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড চোখের পলকে ৪ উইকেটে ৩৯। পরের ওভারে আমির তুলে নিলেন এউইন মরগানকেও। এরপর ট্রট ও প্রিয়রের সাময়িক প্রতিরোধ। লাঞ্চের পর তৃতীয় ওভারে প্রিয়রকে আউট করে ৫৫ রানের জুটিটা ভেঙে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ৫ উইকেট পেয়ে যান আমির। ২ বল পর গালিতে আজহার আলীর দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার গ্রায়েম সোয়ান। ইংল্যান্ডের তখন দেড় শ নিয়েই শঙ্কা। অথচ সেই তারাই এখন চার শর পথে।

০, ০, ০
টেস্ট ক্রিকেটে ১৯৭১ ম্যাচের ইতিহাসে মাত্র পঞ্চমবার কোনো দলের চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর ব্যাটসম্যান আউট হলেন শূন্য রানে।

No comments

Powered by Blogger.