মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণুযুদ্ধের ব্যাপারে কাস্ত্রোর ফের আশঙ্কা প্রকাশ

কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো আবারও মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণুযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রাজধানী হাভানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কিউবার রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁর এই ভাষণ গত শুক্রবার কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এ নিয়ে নয় দিনের মাথায় পঞ্চমবারের মতো জনসমক্ষে দেখা গেল এই নেতাকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনে কূটনীতিকদের উদ্দেশে প্রায় আধা ঘণ্টা বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় তাঁর পরনে ছিল চেক শার্ট। এবারও কাস্ত্রো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে এক হাত নেন। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর ওপর ভিত্তি করে এ পর্যন্ত যত খবর ও সংবাদ বিশ্লেষণ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, সেগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন কাস্ত্রো।
রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যদি ইরান ও উত্তর কোরিয়ায় আগ্রাসন চালায়, তবে তা বিশ্বে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে। আগ্রাসনের জবাব কী হবে তা ঠিকঠাক হয়ে আছে। এটা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের বিষয়। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া আক্রমণ করবে, সে ব্যাপারে তিনি প্রায় নিশ্চিত। নিজের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে ৮৩ বছর বয়স্ক এই নেতা বলেন, তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছে।
কাস্ত্রো মাত্র নয়দিনের মধ্যে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো জনসমক্ষে বক্তব্য দিলেন। এক বছরের মধ্যে গত সোমবার তাঁকে প্রথম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা যায়। এ সময় তাঁর গলার স্বর কিছুটা ভেঙে গেলেও স্বাস্থ্যের অবস্থা ছিল মোটামুটি ভালো। সেদিন টেলিভিশনে তাঁর সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়, যাতে তিনি বিশ্বে পরমাণুযুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
কিউবা সম্প্রতি ৫২ জন ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিতে শুরু করেছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির ভাবমূর্তি এখন বেশ ভালো। আর ঠিক এই সময়েই কাস্ত্রোকে এখন বারবার জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে। ২০০৬ সালে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর এই নেতা এত দিন লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.