ইরাক যুদ্ধ নিয়ে বুশের দুঃখ প্রকাশ

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার পর ‘নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক’ সাদ্দাম হোসেনকে উত্খাত করা জরুরি ছিল, কিন্তু দুঃখজনক হলেও এ ক্ষেত্রে সামরিক শক্তি ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একটি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল সাদ্দামকে শান্তিপূর্ণভাবে নিরস্ত্র করা। কিন্তু আমি দুঃখিত, ইরাকে আমাকে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে হয়েছে। কারণ এর কোনো বিকল্প ছিল না।’ ইরাকে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার বৈধতা প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন করা ১৭ নম্বর খসড়া প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে আইএইএকে সহযোগিতা না করার কারণে সাদ্দামকে নিরস্ত্র করার কথা বলা হয়েছিল।
২০০৩ সালের মার্চে ইরাকে আগ্রাসন চালানোর কারণেই মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে চরমপন্থীদের উদ্ভব হয়েছে—এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বুশ দাবি করেন, ওই যুদ্ধের পর ইরাক এবং বিশ্ব এখন আগের চেয়ে ভালো আছে।
ইরাকে আগ্রাসন চালানোর পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘ওই সময় ধারণা করা হচ্ছিল, ইরাক গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করছে। সাদ্দাম হোসেন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পর্যবেক্ষকদের ইরাকে পর্যবেক্ষণ করার অনুমতি দিচ্ছিলেন না। আর এসব কারণেই সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরানো জরুরি ছিল।’ পাশাপাশি সাদ্দামকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটনের শাসনামলেই নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন বুশ। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন বাহিনী। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.