ট্রাম্পকে হত্যার তৃতীয় প্রচেষ্টা? অভিযোগ ইরানের দিকে
আইআরজিসির বেঁধে দেওয়া সময় অর্থাৎ ৭ অক্টোবরের মধ্যে তার পক্ষে হামলা চালানো সম্ভব ছিল না বলেই জানিয়েছে অভিযুক্ত ৫১ বছরের শাকেরি। এই শাকেরিকে ‘বড় সম্পদ’ বলে উল্লেখ করছে মার্কিন প্রশাসন। কারণ তাকে জেরা করে আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ে বলেছেন যে, অভিযোগগুলি প্রমাণ করে যে, ইরান মার্কিন নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে, যার মধ্যে ট্রাম্প, অন্যান্য নেতা এবং সরকারী কর্মকর্তারা আছেন যারা ইরানের শাসনের সমালোচনা করেন।'
তিনি বলেন, ‘আইআরজিসি অপরাধীদের এবং আঘাতকারীদের সাথে ষড়যন্ত্র করছে মার্কিন মাটিতে আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য। এটি সহ্য করা হবে না।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে শাকেরি শৈশবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন এবং একটি ডাকাতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ২০০৮ সালের দিকে তাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। প্রসিকিউটররা বিশ্বাস করেন তারপর থেকে শাকেরি ইরানেই রয়েছেন। শাকেরিকে ফৌজদারি অভিযোগের নথিতে একজন আফগান নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিউইয়র্কের দুই বাসিন্দা- কার্লাইল রিভেরা এবং জোনাথন লোডহোল্ট -কেও হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে অস্বীকার করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ‘প্রাক্তন বা বর্তমান আমেরিকান কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে হত্যা প্রচেষ্টায় ইরান জড়িত নয়।’ চলতি বছরের জুলাইয়ে পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচার ছিল রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের। সেখানেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় আততায়ীর গুলি। কপালজোরে রক্ষা পান বর্ষীয়ান রাজনীতিক। এর তিন মাস পরে ফ্লোরিডার গল্ফ ক্লাবে দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। যদিও সেবার তিনি আহত হননি।
সূত্র : এনডিটিভি
No comments