নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারের নির্বাচনমুখী প্রক্রিয়ার যে কাজ সেটি শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে বলতে পারেন। নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি হয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বাক্ষর হওয়ার পর মঙ্গলবার অথবা বুধবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেলে ভোটার তালিকা করা হবে। ভোটার তালিকা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ছিল। বিগত নির্বাচনগুলো এমনই ভুয়া নির্বাচন ছিল যে, ভোটার তালিকা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তোলেনি। এবার আমরা ভুয়া নির্বাচন করবো না। এবার সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। ফলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এর জন্য কতোটা সময় লাগবে, সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনকে কীভাবে সম্পর্কিত করা হবে, এমন অনেক কিছুর ওপর নির্বাচনটি নির্ভর করে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে সব ঠিক করবেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল অংশ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি যদি মনে করেন, যারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, ৪০-৫০ হাজার মানুষের অঙ্গহানি ঘটিয়েছে; এখনো এর পক্ষেই কথা বলছে; এখনো তাদের নেত্রী বিদেশে বসে হুমকি দিচ্ছে অবশ্য অডিও ক্লিপটি যদি সঠিক হয় ২৮৭ জনকে দেখে নেবে; আমার মনে হয় না বাংলাদেশের মানুষ এটা মেনে নেবে যে বিচার ও অনুশোচনা হওয়ার আগে তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাবে। তারা রাজনীতি করতে আসবে কি আবারো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার জন্য? তাদের কথা শুনে তো তেমনই মনে হয়। ফলে, এগুলো একটি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে আসবে। এত বড় আন্দোলনকে তারা এখনো বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, এই আন্দোলনের নেতাদের কিশোর গ্যাং বলার চেষ্টা করে। এবং সুযোগ পেলে আরও মানুষকে হত্যা করার, দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এই দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত কিনা, সেই প্রশ্নটা বাংলাদেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কাছে রেখে গেলাম। আমাদের সরকার ইতিমধ্যে বলেছে, বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেটা দেখা যাবে বলে যোগ করেন তিনি।
No comments