হৃদরোগের চিকিৎসা: দাম কমছে ‘রিং’য়ের

শিগগিরই দেশে কমছে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত করোনারি স্ট্যান্টের (রিং) দাম। ইতিমধ্যে ৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কম দামে করোনারি স্ট্যান্ট বিক্রির জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব অনুসারে, প্রতিষ্ঠানগুলো বেয়ার মেটাল ও বিএমএস (নন মেডিকেটেড) স্ট্যান্ট ২৫ হাজার টাকা এবং ড্রাগ ইলিউটিং স্ট্যান্ট (মেডিকেটেড) ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করবে। যেগুলোর বর্তমান মূল্য যথাক্রমে ৮৫ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে এসব রিংয়ের দাম আরও কমতে পারে বলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখন থেকে চূড়ান্ত দাম নির্ধারণের পূর্ব পর্যন্ত সব সরকারি হাসপাতালে প্রস্তাবিত দামে (২৫ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা) স্ট্যান্ট বিক্রি হবে। তবে স্ট্যান্ট কেনার সময় অবশ্যই ক্রেতাকে দেখতে হবে স্ট্যান্টের প্যাকেটের গায়ে পণ্যের মূল্য, উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ আছে কিনা। যদি এগুলো না থাকে তাহলে ওই স্ট্যান্ট কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
যে ৪টি কোম্পানি কম দামে স্ট্যান্ট বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে তারা হল- কার্ডিয়াক কেয়ার, ভাসটেক লিমিটেড, মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড ও ওরিয়েন্ট এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনারি স্ট্যান্ট আমদানির জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বর্তমানে ২১টি কোম্পানিকে ৪৭টি রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে একটি বেয়ার মেটাল স্ট্যান্টের দাম ৭,২৬০ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৮,৯২৯ টাকা। অন্যদিকে ড্রাগ ইলিউটিং স্ট্যান্টের দাম ভারতে ২৯,৬০০ টাকা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৩৬,৪০৮ টাকা। ভারতে ৬টি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করলেও বাংলাদেশে পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের বাজারে সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রিংয়ের দাম নির্ধারণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি যাচাইবাছাই করে রিংয়ের দাম চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে দেবে। তারপর থেকে সবাইকে সেই নির্ধারিত দামেই রিং বিক্রি করতে হবে। দেশে বর্তমানে বার্ষিক ১৮ হাজার করোনারি স্ট্যান্টের প্রয়োজন বলে তিনি জানান। অন্যদিকে ভারতের বার্ষিক চাহিদা ১৩ লাখ। সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, নায়ার সুলতানা, ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক সাবরিনা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.