কোকোর মৃত্যুর দায় কে নেবে? by সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া

প্রতিহিংসার রাজনীতির শেষ কোথায়? শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর দায় অনাকাক্সিত, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর চাপানোর প্রচেষ্টা নতুন নয়। কথিত আছে, জিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর একজন বিশেষ ব্যক্তি বোরকা পরিহিত অবস্থায় কসবা সীমান্ত থেকে বিএসএফ, বিডিআরের হাতে ধৃত হয়েছিল। জে. মঞ্জুরের হত্যারহস্য রহস্যই থেকে গেছেÑ মামলা দিয়ে সব রহস্যের কিনারা খুঁজে পাওয়া দুরূহ। যারা মঞ্জুরকে দিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদত বরণ করার পর বেগম খালেদা জিয়া সাদা কাপড়ে মোড়া কফিনের ভেতর রাখা রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত লাশটি ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলেন প্রতিশোধ নেবেন তিনি শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে। সেদিন বিএনপির অনেক যোগ্য ও গুণধর রথী মহারথীরা বেগম জিয়াকে নেত্রী হিসেবে প্রথমে মেনে নিতে কষ্ট পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজ যোগ্যতায় তাদের ভ্রান্ত ধারণার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। স্বীকার করতেই হবে, খালেদা জিয়া নিজস্বতা, ব্যক্তিত্ব¡, মেধা, যোগ্যতাসম্পন্ন। নিছক উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা আরোহণ নয় বরং নিজের আলোতে নিজেই আলোকিত হয়ে নিজস্ব পদটিকে অধ্যবসায় ও আত্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে মহিমান্বিত করেছেন। বর্তমানে যে বয়সে মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে ৩০-৩২, সেই বয়সে বেগম জিয়াকে স্বামী হারাতে হয়েছে। পিতাহারা দুই ছেলেকে রেখে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে গেছেন। টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জ সবকিছু সহ্য করে আপসহীনতা, দৃঢ়তা, চিন্তাচেতনার সুনিপুণতা দিয়ে সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেছেন। ক্ষমতার মোহ তাকে প্রলুব্ধ করতে পারেনি। এ জন্যই তত্ত্বাবধায়ক বিল পাস করে জনগণের ভোটাধিকার অব্যাহত রেখেছেন এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে রুদ্ধ হতে দেননি।
‘গণতন্ত্র’ নামের বিষয়টিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে গিয়ে জীবন বাজি রেখে অপরিসীম ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন। গণতন্ত্র যখন সীমাহীন প্রতিহিংসার কবলে পতিত, তখন কার্যত গণতন্ত্র থাকে না। বেগম খালেদা জিয়া নয় বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শুধু আন্দোলন নয়, ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শাসনকালের প্রতিটি বছর যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে সফলতার সাথে অতিক্রম করেছেন। শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার কোনো মানসিকতা কোনো দিনও পোষণ করেননি। ক্ষমতা পেয়েও এই পরিছন্ন মানসিকতার কথা অকপটে আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের স্বীকার করা উচিত। ২১ আগস্টের ন্যক্কারজনক বর্বরোচিত ঘটনা একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। এ সম্পর্কে বেগম জিয়া ঘুণাক্ষরেও জানতেন না। প্রশ্ন আসতে পারে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে না জানাটা কি যথার্থ। এ  প্রশ্ন করাটাও স্বাভাবিক। বাস্তব সত্য কথা হচ্ছে, তৎকালীন সরকারের কোনো গোয়েন্দা সংস্থাই এরকম কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। পরবর্তী-পর্যায়ে ৬৪ জেলায় একসাথে বোমা হামলাই ছিল এ চক্রান্তের দ্বিতীয় পদক্ষেপ।

বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলকে বিতর্কিত এবং রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে জঙ্গিবাদের উত্থান সম্পর্কিত আলামত জাহির করতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ২১ আগস্টের ঘটনার আগে দুই নেত্রীর মধ্যে এমন কী বিরোধ ছিল, যাতে শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করতে হবে। চক্রান্তকারীরা সফল হয়েছে,  দু’জনের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করতে পেরেছে এবং বাংলাদেশে জঙ্গিদের উত্থান কোনো কোনো দেশকে বিশ্বাস করিয়েছে। সেই দূরত্ব নিয়ে আরো অমানবিক আচরণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ঘটেছে। রেজিস্ট্রি ডিড দিয়ে বরাদ্দ করা বাড়ি থেকে প্রথমে মন্ত্রিপরিষদের মিটিংয়ে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত, পরে আদালতের মাধ্যমে বাড়ি থেকে বের করে দখল নেয়া হয়েছে।

জিয়াউর রহমানের বাড়ির বসবাসের স্থানটুকু স্মৃতি চিহ্নরূপে ঘিরে রেখে বাকি জায়গাটুকুতেও যদি ভবন নির্মাণ করা হতো, তাও বলার কিছু থাকত না। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক, সৎ শাসক, স্বাধীনতার ঘোষকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে স্মৃতি হিসেবে বসবাসের জায়গাটুকু রেখে দেয়া যেত। ন্যূনতম সৌজন্য বোধটুকু দেখানো হয়নি।
২১ আগস্ট ও ৬৪ জেলায় বোমা হামলা, কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের যে অংশ তা বুঝতে দেশবাসীর সময় লাগেনি। ১/১১-এর মাধ্যমে পর্দার অন্তরালের ষড়যন্ত্রকারীরা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে শুরু করল।
বেগম খালেদা জিয়া এই মাটিকে ভালোবাসেন। তার দৃঢ় মনোবলের মাধ্যমে বিদেশে জোর করে পাঠানোর সব ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত তিনি উপড়ে ফেলে দেশে থেকেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছেন। সপরিবারে জেলে গেছেন, তবুও নতি স্বীকার করেননি। বেগম জিয়া, তার পরিবার ও দলের নেতাদের নামে মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের নামেও মামলা হয়েছিল। একই রকম ভুক্তভোগী দুই দলকেই হতে হয়েছিল।
অবুঝ জাতি আমরা, নিরাশায় বাঁধি খেলা ঘরÑ বুক ভরে আশা করেছিল হয়তো উভয় দলই একই ধরনের দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হওয়ার কারণে ব্যবধান কমবে, হয়তো রাজনৈতিক সহমর্মিতা প্রদর্শিত হবে। দানবীয় বেশে প্রতিহিংসাবশত অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে জিয়া পরিবার ও বিএনপির ওপর। ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে বেগম খালেদা জিয়া আরাফাত রহমান কোকোসহ গ্রেফতার হন। ১৭ মার্চ ২০০৯ কাফরুল থানায় দায়েরকৃত মামলা নম্বর ৩০। মামলাটি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হয়নি। বর্তমান সরকারের সময়ে হয়েছে, যখন কোকো বিদেশে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং এই মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়। মামলাটিতে বলা হয়, আরাফাত রহমান কোকো আমেরিকার এইচএসবিসি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের জাজ ট্রেডিং কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ মার্কিন ডলার স্থানান্তর করেছেন। অথচ আমেরিকার ওই দু’টি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টহোল্ডার কোকো নন এবং সিঙ্গাপুরিয়ান ট্রেডিং কোম্পানির তিনি ডাইরেক্টর, শেয়ারহোল্ডার ও কর্মকর্তাও নন। ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে বেগম জিয়া ও কোকো গ্রেফতার হন অথচ ২০০৭ সালের ১৬ নভেম্বর সিঙ্গাপুর ওভারসিস ব্যাংকে টাকা জমা হয়। এজাহারে বর্ণিত ২০ লাখ মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা কিংবা সিঙ্গাপুরের কোনো ব্যাংকে ট্রান্সফার হয়নি। আমেরিকা থেকে সিঙ্গাপুরে, এই দুই দেশে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে, সে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ওপেনের সাথে কোকোর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এতে প্রমাণিত হয়েছে এখানে মানিলন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অথচ ২০০৯ সালের মানিলন্ডারিং আইন দ্বারা বিচার করা হয়েছে ২০০৭ সালের ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে পূর্বের ঘটনা পরের আইনে বিচার করা হবে না। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময় যে আইনটি বলবৎ থাকবে, সে আইনেই বিচার করতে হবে। বেগম জিয়ার মনোবলকে দুর্বল করার লক্ষ্যে অসুস্থ আরাফাত রহমান কোকোর প্যারোল বাতিল করতে নিয়মনীতির পরোয়া না করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নি¤œ আদালতে যান এবং প্যারোল বাতিল করান। ১/১১-এর যেসব মামলা এককভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল, সেগুলো তুলে নেয়া হলো। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবার এবং দলের অন্য নেতাদের মামলা বহাল রাখা হয়। একই আদালতে শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকজন এক রকম আচরণ পেয়েছে এবং খালেদা জিয়া তার দলের ব্যাপারে একই আদালতে ভিন্ন রকম পাওয়া গেছে।
তারেক রহমানের মামলায় তাকে খালাস দেয়ার কারণে বিচারককে দেশান্তরী হতে হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটা বিরল ঘটনা। আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর দায় কি এড়াতে পারবে সরকার? মিথ্যা মামলায় জেল, দীর্ঘ দিন মায়ের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন; দেখা সাক্ষাৎবিহীন জীবন। তারপর নিঃসঙ্গ মাকে মরিচের গুঁড়া দিয়ে অসুস্থ করে অবরোধ করে রাখাÑ প্রতিদিন পার্লামেন্টে ও মঞ্চে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের হুমকি মায়ের থেকে দূরে থাকা অসহায়, নিরুপায়, নির্বাসনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ, মায়ের বিপদে সন্তান হিসেবে পাশে না থাকার যন্ত্রণা, প্রতিনিয়ত উৎকণ্ঠা তার মৃত্যুর কারণ।
এই দায় কি বর্তমান সরকার এড়াতে পারবে? ড. ওয়াজেদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়া ধানমন্ডির বাড়িতে ছুটে যাওয়ার পর কি প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসার আগুন নিভে গেছে? কোকোর লাশ আসার আগেই শোকে মূর্ছা যাওয়া এবং জ্ঞান ফিরে এলেও ‘কোকো কোকো’ বলে ডেকে আবার অজ্ঞান হয়ে গেছেন ‘মা’ খালেদা জিয়া। দুই ছেলেকে মালয়েশিয়ায় এবং লন্ডল থেকে ‘যেকোনো মূল্যে’ ফেরত আনার, বিচারের সম্মুখীন করার হুঙ্কার ক্ষমতাসীন দলের নেতা-নেত্রীরা  দিচ্ছেন। প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে, রাজনীতিতে জড়িত না থাকার পরও যাকে জেল দিয়ে দেশান্তর হতে বাধ্য করা হলো, কত কথা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কোকোর বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। কারো সাথে সাক্ষাতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মোপলব্ধি। কুকথা বলার জন্য অনুশোচনা হলেই দেশ জাতি জনগণ উপকৃত হবে।
পুত্রের শোকে শোকাহত বেগম খালেদা জিয়া প্রায় আট বছর জীবিত ছেলের মুখ দেখতে পারেননি। কফিনে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশ দেখা গর্ভধারিণী মায়ের জন্য কত বেশি হৃদয়বিদারক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বারবার হুমকি এসেছে ধরে আনার জন্য, বেগম জিয়াকে সর্বহারা করার জন্য। ২৮ বছরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে গৃহহারা করা হলো। কলিজার টুকরো দুই সন্তানকে মায়ের বুক থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে নির্বাসনে পাঠিয়ে এবং মিথ্যা মামলায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কোকোকে দণ্ড দেয়া হয়েছে। মরিচের গুঁড়া দিয়ে অবরুদ্ধ, মিছিল করলে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ। একই সাথে হওয়া মামলাগুলো প্রক্রিয়া করে ক্ষমতায় আসার পর কোর্টের মাধ্যমে ফায়সালা। আর বেগম জিয়াকে প্রতিদিনই হাজিরা দিতে হচ্ছে। পার্লামেন্টে বেগম জিয়ার জন্মবৃত্তান্ত এবং আরাফাত রহমানের জন্ম নিয়ে জঘন্য নোংরা কথা বলা হলো। আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১৯৭০ সালের ২২ আগস্ট, ১৯৭১ নয়। ‘শিষ্টাচার’ নিয়ে যারা কথা বলছেন, তারা এমন কোনো শিষ্টাচার দেখিয়েছেন কি যে, শিষ্টাচার পাওয়ার আশা করেন? ২১ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনার দিন বেগম খালেদা জিয়া বারবার শেখ হাসিনাকে দেখতে চেয়েছেন। বারবার টেলিফোনে যোগাযোগ করার পর ‘না’ উত্তর শুধু আসেনি, যুবলীগ লেলিয়ে দিয়ে প্রতিশোধের হুমকি দেয়া হয়েছিল। কে লুকোচুরি খেলেছে আমরা জানি না। শিমুল বিশ্বাস না শেখর, সেটা আমরা বলতে পারব না। আমি যেটা প্রত্যক্ষ করেছি, বেগম জিয়া ঘরে বারবার অজ্ঞান হওয়ার কারণে বোন এবং ভাইয়ের বউরা ছিল, প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন তাদের জানানো হয়নি এবং আমরাও অবহিত ছিলাম না। বেগম খালেদা জিয়া অল্প বয়সে স্বামী হারিয়েছেন, কারাবন্দী থাকা অবস্থায় মা হারিয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলনরত অবস্থায় সরকারের গ্রেফতারের হুমকি ধমকি এবং মরিচের গুঁড়া মেরে অসুস্থ হয়ে যাওয়া অবস্থায় পুত্র কোকোকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ায় আকস্মিক তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, অবশেষে হার্ট অ্যাটাক হয়ে অকাল মৃত্যু হয়। ছেলে হারানোর এই বেদনায়, দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা ও শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। সরকার বেগম জিয়ার সবকিছু কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করার চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ পরপর তিনবার নিরপেক্ষ নির্বাচনে তাকেই বিজয়ী করেছে। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র এবং দেশকে সন্তানের চেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন। বারবার সেটা প্রমাণ হয়েছে। তার পুত্রের শোক শক্তিতে রূপান্তরিত হোক। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এই দোয়া করি।
লেখক :অ্যাডভোকেট ও সাবেক সংসদ সদস্য

No comments

Powered by Blogger.