অচল দেশ- সংঘর্ষ, আগুন, রেলপথে নাশকতা

অবরোধের তৃতীয় দিনও সারা দেশে সংঘাত-সহিংসতা অব্যাহত ছিল। জনজীবন ছিল স্থবির। অবরোধের কারণে ভেঙে পড়েছে সারা দেশের পণ্যপরিবহন ব্যবস্থা। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। অবরোধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে ২০ দলের নেতাকর্মীদের মিছিলে গতকালও গুলি চালিয়েছে পুলিশ। দেশের কোথাও দূরপাল্লার বাস চলেনি। ভাঙচুর হয়েছে বাস কাউন্টারে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও আতঙ্কিত ছিল যাত্রীরা। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২০ দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ এদিনেও প্রায় ২শ’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলা দিয়েছে আরও প্রায় ৫ সহস্রাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। খুলনা বিএনপি কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। জয়পুরহাটে ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলায় প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
রাজধানীতে ১২ বাসে আগুন
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের তৃতীয় দিনে রাজধানীর পৃথক স্থানে অন্তত ১২টি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শহীদুল্লাহ নামে এক বাসের যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকের কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেছে। তবে দুর্বৃত্তদের আটকের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী ব্রিজের পাশে রবরব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পাঁচ-ছয়জন যুবক পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় ওই বাস থেকে যাত্রীরা দ্রুত নেমে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খিলগাঁও থানার ডিউটি অফিসার এসআই আলাউদ্দিন জানান, বাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, সকাল ৯টায় মতিঝিলের শাপলা চত্বরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দিবানিশি পরিবহনের একটি ফাঁকা বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দৃর্বৃত্তরা। এতে ওই বাসের কয়েকটি সিট পুড়ে যায়। পরে ওই বাসের চালক, হেলপার ও পথচারীরা বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর পৌনে ২টায় মতিঝিল থানার গলিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবনের সামনে অপর একটি খালি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে নিউমার্কেটের নীলক্ষেতের মোড়ে নিউ সুপার সার্ভিস পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো জ-১১-২১২৬) একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগে ভাঙচুর চালায়। পরে ওই বাসে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় একই সময়ে মৌচাকের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সূত্রাপুর থানাধীন ভিক্টোরিয়া পার্কের দিশারী পরিবহনের একটি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউটিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় গুলিস্থানে একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। এতে ওই বাসের যাত্রী শহিদুল্লাহ দগ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রায় একই সময়য়ে মতিঝিল থানাধীন আরামবাগ পুলিশ বক্সের সামনে একটি দুর্বৃত্তরা একটি বাসে আগুন দেয়। সন্ধ্যার সময় মৎস্য ভবনের সামনে একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। রাত সোয়া ৮টায় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বরের একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগায়। এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মহাখালীর ফ্লাইওভারের নিচে ৩ নম্বর রুটের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। প্রায় একই সময় উত্তরার আবদুল্লাহপুরে দুর্বৃত্তরা অপর আরেকটি বাসে আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জানায়, অবরোধে বিভিন্ন স্থানে আগুনের ঘটনা ঘটছে। আগুনের খবর পাওয়ার পরেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাত নয়টার দিকে কল্যাণপুরের খালেক পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুরের স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া রাতে শান্তিনগর চৌরাস্তায় তরঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে বাস থেকে নেমে যায়।
ককটেল বিস্ফোরণ: অবরোধের তৃতীয় দিনে অন্যান্য দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাত সোয়া ৯টার দিকে কাওরানবাজার আন্ডারপাসের পাশে ৫-৬টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সোনরাগাঁও থেকে ফার্মগেটমুখী রাস্তায় মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় চলন্ত অবস্থায় ককটেলগুলো রাস্তায় ছুঁড়ে মারে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রাত পৌনে ৮টায় পল্টন মোড় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে এক রিকশাচালক আহত হন। সন্ধ্যার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এদিকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পরপর ৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সারা দেশে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও গ্রেপ্তার: অনির্দিষ্ট কালের অবরোধ কর্মসূচির পক্ষে গতকাল রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। এ সময় পুলিশের গুলিতে অনেকেই আহত হয়েছেন। পুলিশ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শহীদুল ইসলাম, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়াল খান, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ চৌধুরী ফয়েজ, রাজধানীর রূপনগর থানা ছাত্রদল নেতা রাজিবসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে। খুলনার বিএনপির অফিস অবরুদ্ধ করে দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার চালায় পুলিশ। রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রদল মিছিল বের করলে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় ছাত্রদল নেতা গোলাম কিবরিয়া শিমুলসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, সবুজবাগ, বকশীবাজার মোড়, রংপুরের তাজহাট মোড়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে ছাত্রদল।  এছাড়া রংপুরে ৬৯ নেতাকর্মীকে ও ময়মনসিংহের ত্রিশালে ২০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে বিস্ফোরক মামলা করেছে পুলিশ। যশোরে ৪৪ জন, হবিগঞ্জে ৩৯ জন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ৩১ জন, নড়াইলে ২৭ জন নেতাকর্মী আটক করেছে পুলিশ। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে অবরোধকারীরা। রাজশাহীর তানোরে একই জায়গায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
রাজশাহী থেকে বিজিবি প্রহরায় ট্রাক ছেড়েছে: তানোরে ১৪৪ ধারা
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, ২০দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আটকে থাকা প্রায় ৮০টি মালবোঝাই ট্রাক বিজিবি-৩৭ ব্যাটালিয়নের প্রহরায় ঢাকায় পৌঁছেছে। গতকাল দুপুর ২টায় গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে ট্রাকগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর আগে সোনামসজিদ থেকে বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল দলের সঙ্গে গাড়িগুলো গোদাগাড়ী সীমানায় আসে। তবে উপজেলাগুলোতে অবরোধে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। গতকাল ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অবরোধের মুখে পড়ে রাজশাহীর সঙ্গে জেলা ও রাজধানী শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও গত দুই দিন ধরে নওগাঁ ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ রুটে কিছু যানবাহন চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর ঢাকার উদ্দেশ্যে কিছু লোকাল (সাধারণ) গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। তবে ঢাকাগামী নাইট কোচগুলো এখন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
গতকাল সন্ধ্যায় বিজিবি-৩৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ারুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, অবরোধের মুখে গত ৪/৫দিন ধরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আটকে পড়া ফল ও পাথরবাহী প্রায় ৮০টি ট্রাক নিয়ে বিজিবি গোদাগাড়ী থেকে যমুনা ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। অন্যদিকে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মনজুর রহমান পিটার জানান, রাজশাহী থেকে বিভিন্ন আন্তঃজেলা রুটে  বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত বুধবার থেকে নওগাঁ রুটে এবং বৃহস্পতিবার থেকে চাঁপাই নবাবগঞ্জ রুটে কিছু বাস চলাচল শুরু করছে। ভোরের দিকে পুলিশ পাহারায় বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে পাঁচটি বাস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের সংখ্যা। এছাড়া বিআরটিসি পুলিশ প্রহরায় গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধের সমর্থনে কাদিরগঞ্জ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর বিএনপি সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুর নেতৃত্ব মিছিলটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ভুবনমোহন পার্কে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। অবরোধে নগরজুড়ে কঠোর অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোর থেকেই নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, সদর হাসপাতালের মোড়, সিটি বাইপাসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অব্যাহত রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির টহল। তবে উপজেলাগুলোতে অবরোধে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তানোর প্রতিনিধি জানান, তানোর উপজেলা বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা সদরের থানা মোড় ও ডাকবাংলো মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা দেয়। তাদের প্রতিহত করতে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ একই স্থানে মিছিল-মিটিং করার ঘোষণা দেয়। উভয় দলের ডাকা সমাবেশে অনাকাঙ্ক্ষিত সহিংসতা এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৃহস্পতিবার ভোরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনীরুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, উপজেলা সদরের থানা মোড় ও ডাকবাংলো মাঠে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, সকাল ১০টায় তানোর ডাকবাংলো মাঠে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরান আলী মোল্লা এবং থানার মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুণ্ডমালা পৌরসভা মেয়র গোলাম রাব্বানী বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উভয় স্থানের আশপাশের পাঁচশত গজের মধ্যে এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানান তিনি।
জয়পুরহাটের উড়ি এলাকায় রেললাইন তুলে ফেলায় ৪ ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, জয়পুরহাটের উড়ি এলাকায় গতকাল ভোরে রেললাইন তুলে ফেলায় জয়পুরহাটের সঙ্গে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার ট্রেন যোগাযোগ ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চালু হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল ভোরে জয়পুরহাট-জামালগঞ্জ রেললাইনের উড়ি মাধবপাড়া ব্রিজ এলাকায় ৩৬ ফুট রেললাইন তুলে ফেলে অবরোধকারীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং রেল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাইন মেরামতের কাজ করে সকাল ১০টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। জয়পুরহাট স্টেশন মাস্টার নুরুল ইসলাম জানান, লাইন তুলে ফেলায় কয়েক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে তবে দ্রুত মেরামত করায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সকাল থেকে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন কিছুটা বিলম্বে ছাড়তে হয় বলেও জানান তিনি। জয়পুরহাট সদর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রেললাইন তোলার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং রেল বিভাগের সহায়তায় তা দ্রুত মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তিনি আরও বলেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা নাশকতার জন্যই এ কাণ্ড ঘটায় বলে জানান তিনি। তবে এ ব্যাপারে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার সময় পুরানাপুল এলাকায় রেললাইন তোলার চেষ্টা করে শিবির কর্মীরা। এসময় পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে এবং ঘটনাস্থল থেকে দু-শিবির কর্মীকে আটক করে। রেললাইন তোলার খবর আগে থেকে জানতে পারায় দু’টি ঘটনায়ই কোন ট্রেন দুর্ঘটনার স্বীকার হয়নি বলে জানায় রেল বিভাগের কর্মকর্তারা।
হরতাল-অবরোধে সিলেটে মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ
সিলেট অফিস জানায়, সিলেটে ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে হরতাল পালন করেছে বিএনপি। এ সময় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।  জোটের ডাকা অবরোধ ও সিলেট বিএনপি’র ডাকা হরতালের সমর্থনে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকা থেকে শুরু করে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় মিছিলকারীরা ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিমের  নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। মিছিলটি জিন্দাবাজার রাজা ম্যানশনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল  শেষে যাওয়ার সময় জল্লারপাড় পয়েন্টে ৪-৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।  কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, জিন্দাবাজারে বিএনপি মিছিল করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
মহানগর বিএনপি’র মিছিল ও সমাবেশ: সিলেট মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম বলেছেন, চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখায় ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেট মহানগর বিএনপি’র ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে সকালে নগরীর জিন্দবাজারে মহানগর বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব-সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মিফতাহ ছিদ্দিকী’র পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আজমল বক্ত সাদেক, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব চৌধুরী, আবদুল জব্বার তুতু। অবরোধের ৪র্থদিনে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র ডাকা হরতাল সমর্থনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। সকাল ১০টায় সময় স্টেশন রোড থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাবনা মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাজী মো. সাহাব উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ এর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান ফয়েজ, বিএনপি’র নেতা আবদুল লতিফ খান, যুবদল নেতা আলাউদ্দিন আলাই, শাহ মাহমদ আলী, জাবেদ আমীন সেলিম, মঈনুল ইসলাম মঞ্জু, আশরাফ বাহার, মো. দুলাল আহমদ, মোস্তাক আহমদ,  মামুন আহমদ, দিলোয়ার হোসেন, মোক্তাদির খান, ছাত্রদল নেতা মোবারক হোসেন তুহিন, মাছুম পারবেজ, সুহেল ইবনে রাজা, জিয়াউল ইসলাম রাজন, মুহিম আহমদ, আলী আহমদ, শাহ জাহান, শাহীন আহমদ, আছাদ উদ্দিন এপলু, আল-আমিন স্বপন, পাবেল আহমদ, কামিল আহমদ প্রমুখ।
ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল: অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহসড়কের কাস্তরাই এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এই অবৈধ সরকারও পারবে না্থ। পরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ,  জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদ, জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না, মহানগর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লোকমান, জয়নাল আহমদ, রুজেল আহমদ  চৌধুরী, মো. তছির আলী, লিটন কুমার দাশ নান্টু, সায়েদ আহমদ সুজন, জিএম আযম, আমিনুল ইসলাম সাজু, জাকির হোসেন, অলি চৌধুরী, সুমন গাজী, মনোজ  দেব, তোফায়েল আহমদ, জাহেদ আহমদ, আকবর আলী, হায়দার আলী, আতিফ আহমদ, আবিদ আহমদ,  মিজান আহমদ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার নোয়াখালী থেকে জানান, নোয়াখালীর মাইজদী শহরের চৌমুহনীতে বুধবারের সহিংসতায় ৩ জন নিহত ও শতাধিক লোকজন আহতের ঘটনায় ২শ’ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াতের সাড়ে তিন হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক শিকদার সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন। এছাড়া গতকাল আবারও বিএনপি-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে নোয়াখালীতে। ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এতে ৮ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৯ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুবদলকর্মী নিহতের প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সমর্থনে সকাল ৮টার দিকে পৌর বিএনপি সম্পাদক আবু নাছের, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান, শহর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান, সম্পাদক ফরহাদ উদ্দিন চয়ন, নোয়াখালী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুঃখ’র নেতৃত্বে জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন সড়ক থেকে একটি মিছিল নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে আসলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় হরতালকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ছাত্রদল ও শিবিরের ৮ কর্মী নজরুল, নাছির হেদু, নজরুল ইসলাম, মিলন, বাকের, আবির, কাউচার, রাকিব গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাগর, ফারুক, নোমান, নিশাত, আকাশ, রহিম নামের ছাত্রদল ও শিবিরের ৬ কর্মীকে আটক করেছে। গত বুধবার বিকালে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষে যুবদল কর্মী রুবেল ও মহিন উদ্দিন মহসিন ও অজ্ঞাতনামা ১২ বছরের এক কিশোর নিহত হয়। এদিকে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আরও ২৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, কর্মসূচির তৃতীয় দিনে অচল-স্থবির হয়ে পড়েছে শিল্প ও বন্দর নগরী খুলনা। খুলনা থেকে দূরপালার কোনও যানবাহন ছেড়ে যায়নি। মহানগরীর ৮টি থানায় অতিরিক্ত দেড় হাজার পুলিশ, দুই পাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ র‌্যাবের টহল অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৮টায় নগরীর পিটিআই মোড় থেকে অবরোধের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পিটিআই’র কাছে পৌঁছলে অবরোধকারীরা রায়েন্দা ও ঝালকাঠিগামী দু’টি বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল ও দুই রাউন্ড শটগানের গুলি করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেহেদী হাসান লিটন, মিঠু ও কালু নামের তিন বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। সকাল ৯টার দিকে পুলিশ নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। এক ঘন্টা পর সকাল ১০ টার দিকে তারা আবার তালা খুলে দেয়। পরে বিস্ফোরক ও ভাঙচুরের অভিযোগে খুলনা সদর থানার এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তজা, ফজলে হালিম লিটন, সিরাজুল ইসলাম মেঝো ভাই, ফকরুল আলম, আরিফুজ্জামান অপু, মুহিব্বুজ্জামান কচি, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শফিকুল আলম তুহিন, শের আলম সান্টু, রিয়াজ, আরিফুজ্জামান আরিফ, মেহেদী হাসান লিটন, মিঠু ও কালুসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, বগুড়ায় অবরোধ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় ৬৭ জন জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার সদরের মহাস্থান ও গোকুল এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর থানার সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মেহেদী হাসান হিমুসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ছিলিমপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল, এরশাদুল বারী এরশাদসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আজাদ উদ্দিন, বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোররাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের মিয়ার রাস্তার মাথায় এলাকায় গতকাল সকাল ৯টায় যাত্রীবাহী লেগুনায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। পরে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা লেগুনাটি উল্টে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। একই সময়ে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে ঝটিকা মিছিল করে তারা। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এসময় ৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির ডাকা অধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে। এছাড়া যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতা কাজী রায়হান উদ্দিন টুক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি শরীফ ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া হাবু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রিন্সসহ জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হরতাল চলাকালীন গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ল কলেজ এলাকায় পিকেটিং করার সময় ছাত্রদল কর্মী শরীফসহ আটক করা হয়েছে বিএনপির দুই কর্মীকে। হরতাল চলাকালীন শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। এছাড়া ঢাকা-আরিচা ও পাটুরিয়া  মহাসড়কের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে গতকাল ভোরে দুটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ভোর রাত চারটার দিকে পাটুরিয়া টার্মিনালে থেমে থাকা গোল্ডেন লাইন (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-০৯৯০) বাসটিতে আগুন ধরে যায়। পাশে থেমে থাকা আরেকটি যাত্রীসেবা (ঢাকা মেট্রো-জ ১১-০৪৫২)  সার্ভিসেও আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবহন শ্রমিকরা পানি দিয়ে আগুন নেভানো চেষ্টা করে। ঘিওর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি জানান, মণিরামপুরে  বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতা কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাতে মণিরামপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিএনপি ও জামায়াত ১২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো বিএনপি কর্মী মাসুদুর রহমান, আরিফ হোসেন, সেলিম হোসেন, হযরত আলী, বাবর আলী, নাজমুল ইসলাম, হারুন-অর রশিদ, ইব্রাহিম হোসেন, সবুজ হোসেন, আবু নাঈম, জামায়াত কর্মী বাহারুল ইসলাম ও আবদুর রাজ্জাক।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, ফুলবাড়ীতে গতকাল সকাল ১০ টায় নয়ন (৩০) নামে এক বিএনপি কর্মিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরেই তাকে দিনাজপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ভাইস চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির নেতা জামিল চৌধুরীর গাড়ি অবরোধ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বায়েছ আলম গাড়ি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে এএসপি দিরাই সার্কেলের নেতৃত্বে পুলিশ আনোয়ারপুর গিয়ে অবরোধকারীদের ওপর এলাপাতাড়ি লাটিচার্জ করে। সেখান থেকে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় ২০ দলের ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে থানার উপপরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক। বুধবার সন্ধ্যায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এ মামলা হয়। বাগেরহাটে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু, যুগ্ম সম্পাদক খাদেম নেয়ামুল নাসির আলাপ, মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ বিএনপি-জামায়াতের ৩১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে বিএনপি-জামায়াতের ৪০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে বাগেরহাট মডেল থানার এসআই মহিন উদ্দিন বাদি হয়ে ৩১ আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০ জনকে আসামি করেছে। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে, জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু, যুগ্ন সম্পাদক খাদেম নেয়ামুল নাসির আলাপ, মাহবুবুর রহমান টুটুল প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে দেড় শতাধিক অজ্ঞাত বিএনপির নেতাকর্মীর নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ২টায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমীন মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাধারন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গতকাল জামায়াতের থানা আমির মো. আবদুল মান্নানসহ ৩১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সকালে প্রশিকা অফিসসংলগ্ন জামায়াতের অফিসে ইসলামিক এইড বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত উন্টার রিলিফ প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ শীতবস্ত্র বিতরণ এক অনুষ্ঠান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন শীতবস্ত্র নিতে আসা গরিব দুস্থ লোকজন রয়েছে। আটকের সময় পুলিশ জামায়াত অফিসে তলাশি করে প্রচুর পরিমাণ বই, দলীয় পতাকা, লিফলেট, ক্যালেন্ডার, ২৫টি সাইকেল ২টি মোটসাইকেল ২ বস্তা কম্বল জব্দ করে।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, নরসিংদীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ সমর্থনে শহরের ভেলানগরে নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির চিনিশপুরস্থ কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উঠতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় ৪টি গাড়ি ভাঙচুর ও ১০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ১টি পেট্রল বোমাসহ ৭টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে। আটক করেছে ২ জনকে।
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে জানান, রূপগঞ্জে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গতকাল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আধুরিয়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ৩টি ককটেল বিস্ফেরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে। মিছিলকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। এদিকে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বেশ কয়েক দোকানপাটে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে বলে আওয়ামী পরিবহন শ্রমিক লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় ৭-৮টি দোকান।
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর, সড়কে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারা। মিছিল থেকে ১০-১৫টি যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। সকাল ৮টায় মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা সড়কের গোগনগর পুরাতন ব্রিজ এলাকায় অবরোধের সমর্থনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। একই সময়ে একই স্থানে জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিল থেকে অন্তত ৮-১০টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া শহরের বিবি রোডের উকিলপাড়া এলাকায় সড়কে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ ও বন্ধু পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এছাড়া ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকা থেকে সকালে ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে র‌্যাব সদস্যরা।
সিলেট অফিস জানায়, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুহেল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ১টায় নগরীর রিকাবিবাজারস্থ একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, লাগাতার অবরোধে সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়েছেন  বগুড়া ও নওগাঁ জেলার হাজার হাজার দূরপাল্লার যাত্রী। ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে না পারা ঢাকাগামী যাত্রীদের টিকেট ফেরত না নেয়ায় সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে গতকাল ভোরে ভাঙচুর করেছে যাত্রীরা। দাঁড়ানোর টিকিট নিয়ে প্রচণ্ড ভিড়ের কারনে ট্রেনে উঠতে না পারায় বেশির ভাগ যাত্রীকে ফিরে যেতে হচ্ছে স্টেশন থেকে। বিভিন্ন গন্তব্যের যে দু’একটি টিকেট দেয়া হচ্ছে তা নম্বরবিহীন টিকিট। যাত্রীদের অভিযোগ কাউন্টারে টিকিট মিলছে না। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, এমনিতেই সান্তাহারে চাহিদার তুলনায় টিকিটের বরাদ্দ খুবই কম। এরমধ্যে অবরোধের কারনে ট্রেনযাত্রীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় টিকিট মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সান্তাহার স্টেশন থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য এসেছিলেন কলেজ ছাত্রী তানিয়া। তিনি জানান, ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে পারলাম না। আর তাই শনিবার থেকে কলেজের ক্লাস শুরু হলেও আমি কলেজে যেতে পরবো না। এদিকে প্রতিটি স্টেশনে প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে যাত্রী উঠা-নামায় সময় বেশি লাগায় প্রতিটি ট্রেন ৫-৬ ঘণ্টা বিলম্বে যাতায়াত করছে।
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ ৪৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে যশোর জেলা বিএনপিসহ ২০-দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে দলের নেতাকর্মীরা। সকাল ৯টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে বাস ছাড়ার চেষ্টা করলে হরতাল সমর্থকরা একটি বাস ভাঙচুর করে। এ সময় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হরতালকারীরা পালিয়ে যায়। শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে যুবদলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। এ সময় মিছিল  থেকে বাসে ইট ছোড়া হয়। হরতালের কারণে শহরের সব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে, হরতালের আগে গতকাল বুধবার রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের চার নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনাসজিদ স্থলবন্দর থেকে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির পাহারায় ছেড়ে যাওয়া আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে ককটেল হামলা, ভাঙচুর ও দুটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। সকালে বন্দর থেকে ছেড়ে আসার পর দফায় দফার এই হামলা চালানো হয়। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইরতিজা হাসান জানান, ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পচনশীল পণ্যের ৭৭টি  পণ্যবাহী ট্রাক সকালে বন্দর থেকে ছেড়ে আসে। পথে বিভিন্নস্থানে এ হামলা চালায় অবরোধকারীরা। অন্তত ১৫টি ট্রাকে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে মহদিপুরে ককটেল বিস্ফোরণে একটি ট্রাকে আগুন লেগে যায়। এ সময় সোহেল রানা নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন। এছাড়া কানসাট এলাকায় একটি পণ্যবোঝাই ট্রাকেও আগুন দেয় অবরোধ কারিরা। এসময় অবরোধকারীদের ছোড়া ককটেলের আঘাতে ৩ জন ট্রাক সহকারী ও একজন ট্রাকচালক আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.