অভিশংসিত হলেন ইংলাক

থাই পার্লামেন্টের আইন প্রণেতারা শুক্রবার দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাজধানীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চালে ভর্তুকির বিতর্কিত প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে ভোট দেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। খবর এএফপির। শুক্রবার দিনের প্রথমভাগে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ঘোষণা দিয়েছেন, ওই প্রকল্পে তার ভূমিকার জন্য তাকে অপরাধের অভিযোগ মোকাবিলা করতে হবে। এদিকে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা শুক্রবার সামরিক জান্তা প্রভাবিত পার্লামেন্টে তাকে অভিশংসনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। ইংলাক সিনাওয়াত্রার প্রশাসনের বিতর্কিত চাল ক্রয়ে ভর্তুকি কর্মসূচির কারণে ইংলাককে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিশংসনের পর ইংলাক তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘থাইল্যান্ডে আইনের শাসনের সঙ্গে আজ গণতন্ত্রেরও কবর হয়েছে।
আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা এখনো চলমান এবং আমি এখন তা মোকাবেলা করছি।’ দেশটির সেনাসমর্থিত পার্লামেন্টের ২১৯ আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৯০ জন তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। মাত্র ১৮ জন আইনপ্রণেতা এর বিপক্ষে ভোট দেন। একজন ভোটদানে বিরত থাকেন। বাকি আইনপ্রণেতারা অনুপস্থিত ছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মহাপরিচালক সুরাসাক থ্রিরাত্তারাকুল বলেন, ‘ওয়ার্কিং টিম ও জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী কমিটির কাছ থেকে প্রাপ্ত সাক্ষীদের সব সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাই করে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে যে, ইংলাকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হতে পারে।’ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ২০১৪ সালের মে মাসে আদালতের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন ইংলাক। আর এর কয়েকদিনের মাথায় সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। ইংলাক ও তার ভাই ধনকুবের ও সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে শহুরে ও মধ্যবিত্ত গণ্যমান্য শ্রেণীর মানুষ তাদের অপছন্দ করে। ইংলাক ও থাকসিনের বিরুদ্ধে তারা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। থাইল্যান্ডে তাদের রাজনৈতিক দল সর্বাধিক জনপ্রিয়। ২০০১ সাল থেকে দেশের প্রতিটি নির্বাচনে তাদের দল জয়লাভ করে। এএফপি

No comments

Powered by Blogger.