পিয়াস করিম এবং রাজনৈতিক নীচতা by ড. আবদুল লতিফ মাসুম

ক. ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা রবে?’ মৃত্যু একটি অবধারিত সত্য। পিয়াস করিম জন্মেছিলেন এই মাটিতেই। সময়ান্তরে এই মাটিই ধারণ করেছে তাকে। ইসলামে মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে বলা হয়েছে; কিন্তু কোনো মৃত্যু যখন হয় অস্বাভাবিক, তখন মন মানতে চায় না। মৃত্যুকালে পিয়াস করিমের বয়স হয়েছিল ৫৫। তাই মধ্য বয়সের এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই মানুষকে বেদনাতুর করেছে। এ যেন মধ্যাহ্ন গগনে সূর্যাস্ত!
. পিয়াস করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে আমার দুই বছরের জুনিয়র ছিলেন। তার সাদা চুল, সৌম্য অবয়ব, উষ্ণ ব্যক্তিত্ব আমাকে তার জুনিয়র করে ফেলেছিল। রসিকতা করে একদিন বলেছিলাম, সে তো শুধু পদেই প্রফেসর নয়, বরং দেহ আর অবয়বেও। শিক্ষাজীবনে বিভাগীয় সেমিনার বা কোনো অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি লক্ষ করেছি। অনার্স শেষ করে সে যখন আমেরিকা চলে যায়, এরপর দীর্ঘকাল তার সাথে কোনো যোগাযোগ ছিল না। বছর কয়েক আগে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তার বক্তব্য আমাকে মুগ্ধ করে। ওই অবয়বে আমি তাকে প্রথম চিনতে পারিনি। পরে দেখি, এ যে আমাদের সতত আলোর সাথী, চির তরুণ পিয়াস! তখন থেকে যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হলো। দু-একবার বাসায় গিয়েছি। অভিযোগ ছিল, আরো বেশি কেন যাই না? একটি সংবেদনশীল সমাজে গোটা জাতি পিয়াস করিমের বক্তব্যে আলোকিত হয়েছে, আলোড়িত হয়েছে। দেশের লাখ লাখ মানুষের সাথে আমার পরিবারও চ্যানেলে তার শানিত বিবেকের অকুতোভয় ভাষা শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছে। টকশো শেষে আমার স্ত্রীর তাগাদা থাকত, ভাইকে ফোন করে ধন্যবাদ জানাও। নিজেও তার কোনো বিষয়ে মতামত জানার জন্য ফোন করতাম। সেমিনারে অথবা আলোচনায় পাশাপাশি অংশ নিয়ে তার বক্তব্য মানুষকে আশান্বিত ও আন্দোলিত হতে দেখেছি।
গ. কুমিল্লা শহরে এক আলোকিত পরিবারে পিয়াস করিম ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তার পরিবার আওয়ামী ঘরানার। তার চাচা আবদুর রহিম ছিলেন স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আইজি। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে প্রধানমন্ত্রীর, অর্থাৎ নিজের সচিব নিযুক্ত করেন। তার আরেক চাচা ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। তার পরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তার নিকটাত্মীয় সাক্ষ্য দেন যে, ‘পিয়াস করিম আদর্শ ও বিশ্বাসে কঠিন বামপন্থী ছিলেন।’ ব্যক্তিগত জীবনযাপনে তিনি ছিলেন সহজ-সরল, সাদাসিধে এবং আরাম-আয়েশবিরোধী। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকালে তিনি ঘরে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার করতেন না। তার অনুসৃত আদর্শকে ধারণ করার জন্যই তা করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তিনি বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন, লেখক শিবিরসহ প্রগতিশীল কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তিনি ছিলেন সমাজতন্ত্রের এক বাস্তব অনুসারী। মহান মানবতাবাদী। প্রকৃত দেশপ্রেমিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিত্ত-বৈভবের হাতছানি অগ্রাহ্য করে তিনি দেশে ফিরে আসেন। অর্থবিত্তের প্রতি তিনি ছিলেন অনাগ্রহী ও অনভিজ্ঞ।
ঘ. তিনি ছিলেন এক মহান শিক্ষক। দক্ষতা, যোগ্যতা ও আন্তরিকতা দিয়ে শিক্ষায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন নিরন্তর জ্ঞানসাধক। প্রচুর বই পড়তেন। অসামান্য ছিল তার বিশ্লেষণী ক্ষমতা। টকশোতে তার ক্ষুরধার যুক্তির কাছে পরাজিত হতেন দালাল বুদ্ধিজীবীরা। তিনি কখনোই সত্য বলতে দ্বিধা করতেন না। ক্ষমতার লোভ ও ভীতির কাছে আত্মসমর্পণ করতেন না। নিজের ভুলত্রুটিকে শুধরে নিতে কখনো কুণ্ঠা বোধ করতেন না। তিনি ছিলেন মুক্তধারার বুদ্ধিজীবী। জীবনের শেষ ধাপে তার মৌলিক বাম ধারার সাথে ধর্মীয় আদর্শের একটি সমন্বয় লক্ষ করা যায়।
ঙ. বিশেষ করে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে যে ভাবধারার প্রকাশ ঘটেছিল, তা প্রকারান্তরে সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ, অস্থিরতা, অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে, মানবিক অনুভূতির বিলোপ ঘটাতে পারে, জাতীয় বিভাজন এমনকি গৃহযুদ্ধের সূচনা করতে পারেÑ তার বক্তৃতা-বিবৃতি, বিশেষত টকশোগুলো বিশ্লেষণ করলে তা থেকে এমন ধারণা ফুটে ওঠে। শাহবাগ চেতনার বিপরীতে হেফাজতে ইসলামের আবির্ভাব হলে তিনি গভীর মনোযোগসহকারে পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি এই উত্থানের একটি মাকসীয় ব্যাখ্যাও দাঁড় করান। টকশোতে তার বক্তব্য এবং ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে তার একটি স্বকীয় ব্যাখ্যা ফুটে ওঠে।
তিনি হেফাজতে ইসলামের উত্থানকে নিছক ধর্মীয় প্রতিবাদী গোষ্ঠী হিসেবে না দেখে নি¤œœবর্গের মানুষের এক নতুন উত্থান বলে বর্ণনা করেন। তিনি হেফাজতে ইসলামকে ইতিবাচক ‘নতুন সামাজিক শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাদী শোষণে অতিষ্ঠ মানুষ, গ্রামের কৃষক শ্রমিক জনতা হচ্ছে এর চালিকা শক্তি। লাখ লাখ প্রান্তিক মানুষের এ উত্থানকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করেন। তিনি আরো বলেন, একে ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে তাদের প্রভাব সম্পর্কেও তিনি ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তিনি সতর্ক করেন যে, শাহবাগ বনাম হেফাজতে ইসলামের বিভাজন সমাজে বিভক্তি, নৈরাজ্য ও রক্তপাতের সূচনা করতে পারে। সাম্প্র্রতিক বিষয়াবলি সম্পর্কে তার কোনো লেখা আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। টকশোতে তার বক্তব্য মনে করে করে এ কথাগুলো লিখলাম। রাষ্ট্র ও সমাজ সম্পর্কে তার পাণ্ডিত্যপূর্ণ লেখা রয়েছে। আমাদের নিজেদেরকে আলোকিত করার জন্য তার সব লেখা ও বক্তব্যের গ্রন্থনা প্রয়োজন। মার্কসবাদে দৃঢ় আস্থা রেখেও ইসলামকে স্বাধীনতা, পুঁজিবাদ ও শোষণমুক্তির বাহন হিসেবে দেখার যে প্রবণতা এই উপমহাদেশে অতীতে দেখা গেছে এবং বর্তমানে কোনো কোনো দেশে এ তত্ত্ব পরিদৃষ্ট হচ্ছে, সে রকম প্রবণতা দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন কি না, তা গবেষণার বিষয়। তবে তার চিন্তার জগতে যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছিল, সেটা বোধহয় বলা যায়।
চ. বাংলাদেশ সমাজ ও রাষ্ট্র যে কতটা অসহনশীল হয়ে উঠেছে, পিয়াস করিমের মৃত্যুঘিরে তার নগ্ন প্রকাশ ঘটেছে। পিয়াস করিমের সাম্প্রতিক ভূমিকা যারা একদম সহ্য করতে পারছিলেন না তারা মৃত্যুর সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে তার পিতার ‘রাজাকারত্বের’ সন্ধান করেছেন। অথচ তার পিতাসহ পরিবারবর্গ আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। এ দেশের কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম নিরাসক্তভাবে মৃত্যুকে গ্রহণ না করে এ ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক মিথ্যাচারের সহযোগী হয়ে দাঁড়ায়। পরে সংবাদপত্রে তার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের যে ভাষ্য প্রকাশিত হয় তাতে তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। যে কিশোর স্কুলছাত্র অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেছিল এবং আটক হয়েছিল, তার বাপ-চাচাদের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ছিল, সে ব্যক্তি বা তার বাবাকে অপমান করার ওই ধৃষ্টতা অমার্জনীয় অপরাধ। ওই ব্যক্তিরা তাকে অপমান করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং সমাজের যেসব বিবেকবান ব্যক্তিত্ব তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের মরণোত্তর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধানিবেদন আগাম নিষিদ্ধ করে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক নীচতার জানান দিয়েছে মাত্র।
ছ. ২০ অক্টোবর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সদ্যপ্রয়াত ড. পিয়াস করিমকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করার সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আটক করেছিল। পিয়াস করিমের বাবা সে সময় আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে জোর করে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান বানানো হয়েছিল। ২০-২১ বছর আগে মারা যাওয়া একজন ব্যক্তি সম্পর্কে যে ধরনের কথা বলা হচ্ছে, তা শুনলে খুব কষ্ট লাগে, দুঃখজনক। ...একাত্তরের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করার সময় পিয়াস করিমকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে আটকে রেখেছিল। পিয়াস সম্পর্কে যা বলছি, তা জেনেশুনে ও দায়িত্ব নিয়েই বলছি। সে সময় তার বয়স ছিল ১৩ বছর। পরে পিয়াসের বাবা অ্যাডভোকেট এম এ করিম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শর্ত মেনে বন্ডসই দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পাকিস্তানি বাহিনীর শর্ত ছিল, তারা পিয়াস করিমকে মুক্তি দেবে, তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সে কাজ করতে পারবে না। পিয়াস করিমের বাবা এম এ করিম একাত্তরে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তানি বাহিনীর শর্ত মেনে ও বাধ্য হয়েই তিনি স্থানীয় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হন। এর পরও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষার চেষ্টায় তাদের ডান্ডি কার্ড (পরিচয়পত্র) দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছেন।’ (সমকাল)। এই স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে বিবেকবান মানুষেরা অবশ্যই অভিনন্দন জ্ঞাপন করবেন। বোঝা গেল, আওয়ামী লীগেও দু-একজন বিবেকবান মানুষ আছেন। তবে আজ তারা বড় অসহায়।
জ. যারা আওয়ামী লীগের মালিক-মোখতার, প্রতিহিংসার নেতৃত্বে আগুয়ান, তাদের ভূমিকা অন্য রকম। মৃত্যুর দিন সকালে মহাজোটের কয়েকটি ছাত্রসংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেয়, পিয়াস করিমের লাশ তারা শহীদ মিনারে নিতে দেবে না। কারণ হিসেবে বলা হয়, পিয়াস জামায়াত-বিএনপির দোসর, পাকিস্তানপন্থী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধী। এই রাজনৈতিক নাবালকদের লজ্জা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে নেয়ার অনুমতি না দিয়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও যে কী রকম নিকৃষ্ট রাজনীতিকরণ ঘটেছে, এ ঘটনা তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। আওয়ামী রাজনীতির আরো নমুনা রেখেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই তিনি বলেছেন, ‘শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের লাশ নেয়ার অর্থ হলো, দেউলিয়াপনা। পিয়াস করিমের নাম আগে আমরা শুনিনি। পরে জানলাম, তিনি নাকি বিএনপির নেতা এবং মধ্যরাতে টকশো করে বেড়ান। মধ্যরাতে পুলিশ ও চোর ছাড়া কেউ জেগে থাকে না। রাত ১২টার পরে যাদের বুদ্ধি খোলে তারা হয় চোরের দোসর, না হয় পুলিশের দোসর।’
মন্ত্রীর বক্তব্যের এ ধারার প্রতিনিধিত্ব করে আওয়ামী সমর্থক দাবিদার এবং রাজনৈতিক এতিম, বামধারার কিছু বালক আইনমন্ত্রীর ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন সত্য কথা বলায়। তারা আইনমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে দেন। তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। তাহলে বোঝা যায়, এ দেশে সত্য কথা বলাও নিরাপদ নয়। এদের সম্পর্কেই মনীষী প্লেটো তার রিপাবলিকে বলেন, ‘অধম প্রবৃত্তির দল এবার তাদের হাতে বন্দী আত্মাকে তার সব মহৎ গুণ থেকে শোষণ করতে শুরু করে। এবার তারা দম্ভ, অনাচার, অমিতব্যয় এবং নির্লজ্জতাকে মশাল শোভাযাত্রাসহকারে পুষ্পমাল্যে ভূষিত করে এবং প্রশংসার মধুর বাণী উচ্চারণ করে বরণ করে এনে আত্মাশূন্য ঘরে তাদের প্রতিষ্ঠা করে। এবার তারা ঔদ্ধত্যকে অভিহিত করে আভিজাত্য বলে, অরাজকতাকে বলে স্বাধীনতা এবং অপব্যয়কে মহানুভবতা আর মূর্খতাকে বলে বিক্রম।’
ঝ. তারা কি নিশ্চিত হয়েছেন যে, বর্তমান ক্ষমতাসীনেরা অনাদি অনন্তকাল ধরে ক্ষমতায় থাকবেন? গণেশ উল্টে গেলে পিয়াস করিমের মানুষেরা যে তাদের প্রতি অনুরূপ আচরণ করতে পারে তা কি তারা চিন্তা করেছেন? সুতরাং কবিগুরুর ভাষা একটু অদল-বদল করে উপসংহার টেনে বলিÑ ‘হে বিভ্রান্ত বন্ধুরা, যাদের করেছো অপমান, অপমানে হতে হবে তাদের সমান।’
লেখক : প্রফেসর, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
abdullatifmasumju@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.