মহাকাশ পর্যটনের স্বপ্নে ধাক্কা

এক সপ্তাহও হয়নি ভার্জিনিয়ায় উৎক্ষেপণের পরপর বিধ্বস্ত হলো মানুষহীন রকেট। এবার শুক্রবার একই পরিণতি ঘটল আরেক পরীক্ষামূলক মহাকাশযানের। এ দুটি ঘটনাকে বেসরকারি উদ্যোগে মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটা বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।শুক্রবারের ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে ভার্জিন গ্যালাকটিক প্রতিষ্ঠানের একটি পরীক্ষামূলক মহাকাশযান। টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞানী নন এমন সাধারণ মানুষের মহাকাশে ঘুরে আসার সম্ভাবনা এতে বেশ খানিকটা ফিকে হয়ে গেছে। স্পেসশিপটু নামের ছয়জন যাত্রী ধারণক্ষমতার যানটিতে চড়ে মহাকাশে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ৫০০ জন আগাম পয়সা দিয়ে রেখেছেন। তাঁদের স্বপ্ন, বহু ওপরের মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখবেন, যেমন করে দেখেন নভোচারীরা। এঁদের কেউ অবশ্য এখনো জমা দেওয়া টাকা ফেরত চাননি। তবে তাঁদের অপেক্ষা যে দীর্ঘতর হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ ধরনের প্রকল্পে শুধু যে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তাই নয়, শত শত মানুষের মেধা আর শ্রম যুক্ত এর সঙ্গে। কী কারণে এ বিপর্যয় হলো, তা খতিয়ে দেখে নতুন উদ্যমে মাঠে নামাটা সময়সাপেক্ষ হবে। ভার্জিন গ্রুপ আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ওই মহাকাশ পর্যটনসেবা চালুর পরিকল্পনা করেছিল। ভার্জিন গ্যালাকটিকের কর্তা ভার্জিন গ্রুপ প্রধান স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মহাকাশ পর্যটন প্রকল্প বন্ধ হবে না। স্বপ্নচারী হিসেবে পরিচিত কৃতী ব্রিটিশ উদ্যোক্তা ব্র্যানসন প্রথমবারের মতো সাধারণ পর্যটকদের জন্য মহাকাশযাত্রা আয়োজনের বাণিজ্যিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আড়াই লাখ মার্কিন ডলারের মতো চড়া দামে টিকিট কিনতে পর্যন্ত উৎসাহিত করতে পেরেছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ইতিমধ্যে সাতজন পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করেছেন। রাশিয়ার সয়ুজ রকেট দিয়ে উৎক্ষেপণ করা যানে চড়ে তাঁদের ওই যাওয়া-আসায় সময় লাগে ১৫ দিন।

No comments

Powered by Blogger.