ঈদে মহাসড়কে তীব্র যানজটের আশঙ্কা

মহাসড়কগুলোর স্থানে স্থানে হাটবাজার, অবৈধ স্থাপনা ও পার্কিংয়ের কারণে এবার ঈদে মানুষকে পড়তে হবে তীব্র যানজটের দুর্ভোগে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এ পরিস্থিতি উঠে এসেছে কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে।
গাজীপুরের তিন মহাসড়ক : অবৈধ স্থাপনার কারণে টঙ্গী-ঘোড়াশাল-নরসিংদী বাইপাস, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ- এ তিন মহাসড়ক আগামী ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার, স্টেশন রোড, চেরাগআলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে তীব্র যানজট। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের চালক বেলায়েত হোসেন বলেন, আগে রাস্তার অবস্থা খারাপ ছিল। গর্তে গাড়ি আটকে যানজট লেগেই থাকত। এখন রাস্তাও বেদখল হয়ে আছে। চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে কাঁচাবাজার, ট্রাক, অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোস্ট্যান্ড আছে। স্যানিটারি ও রড-সিমেন্টের মার্কেটগুলোর সামনে যানবাহনে রড-সিমেন্ট ওঠানো-নামানো হচ্ছে। এসব কারণে ২০ মিনিটের পথ পার হতে সময় লাগছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। টঙ্গী থেকে শ্রীপুরের জৈনাবাজার পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানো, অবৈধ বেবি, অটোরিকশা-লেগুনার স্ট্যান্ড, ভাসমান দোকানপাট, আবার কোথাও অবৈধ স্থাপনার কারণে যানজট হচ্ছে। মহাসড়কের স্থানে স্থানে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় ঢিবি। এ কারণেও যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও কালিয়াকৈর-নবীনগর মহাসড়কে ঈদের আগেই স্থায়ী যানজট শুরু হয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাঁচটি পয়েন্টে ও কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের দুটি পয়েন্টে প্রতিদিনই তীব্র যানজট হচ্ছে। কোনাবাড়ীতে স্থায়ী যানজটের অন্যতম কারণ কোনাবাড়ী-কাশিমপুর শাখা সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। এই সড়কের যানবাহনগুলো, বিশেষ করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বড় বড় লরি মহাসড়কে ওঠার সময় মহাসড়কের গাড়িগুলোর গতিরোধ হয়। এ ছাড়া কোনাবাড়ীতে সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি সারি করে রাখা হচ্ছে। কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার এসআই নান্নু মণ্ডল বলেন, কাশিমপুর সড়কের গাড়িগুলো সহাসড়কে ওঠার সময়ই মূলত যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ঈদের আগে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। লোক সংখ্যাও অনেক বেশি। ওই লোকজন সড়ক পার হওয়ার সময় গাড়ির গতিরোধ হচ্ছে। কোনাবাড়ীতে একটি ওভারব্রিজ দরকার।
যানজট সৃষ্টির আরেকটি প্রধান পয়েন্ট সফিপুর। এখানে সড়কের ওপর রয়েছে ভাসমান দোকানপাট। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের প্রধান পয়েন্ট হচ্ছে চন্দ্রা ত্রিমোড়। এই ত্রিমোড় দিয়ে প্রতিদিন দুটি সড়কের শত শত যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু দেখা গেছে, সড়কের ওপর বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। বিভিন্ন কাউন্টারের অর্ধশতাধিক বাস চন্দ্রা ত্রিমোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। এতে অন্য যানবাহন চলতে না পারায় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ত্রিমোড়ের প্রবেশের রাস্তাগুলো সরু থাকায় যানবাহন পাশাপাশি এগোতে পারে না। বাইপাস মোড়ের ব্যবসায়ী ওবায়দুল জানান, এখানে একটি ওভারব্রিজ করা হলে যানজট সৃষ্টি হবে না। এ ছাড়া ওভারব্রিজ না থাকায় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে লোক মারা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. যুবায়েদুল আলম জানান, ঈদের আগে মহাসড়ক মুক্ত রাখতে সড়ক বিভাগের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সড়কের ভেঙে যাওয়া স্থান দ্রুত মেরামতের জন্য বলা হয়েছে। ঈদের আগেই সড়কের দুই পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে এবং বিভিন্ন স্থানের টিকিট কাউন্টার উঠিয়ে দেওয়া হবে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে প্রায় সময়ই দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল ও বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে আসা গাড়ি এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে মহাসড়কের পাশেই থামিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রী ওঠানামা করায়। ফলে উত্তরবঙ্গের গাড়ি এসব লোকাল গাড়ির পেছনে পড়ে লম্বা লাইনে আটকা থাকে। এ ছাড়া এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোনো অটোরিকশা স্টেশন নেই। এ জন্য টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা-ঘাটাইল-ভূঞাপুরসহ বিভিন্ন সড়কের সিএনজিচালিত সব অটোও বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের পাশেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক : এ মহাসড়কের কুমিল্লার মিয়াবাজার, পদুয়ার বাজার, নিমসার কাঁচাবাজার, চান্দিনার বাগুর, মাধাইয়া, কুটুম্বপুর, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এ ছাড়া এসব এলাকায় মহাসড়কের ওপরই অবৈধভাবে গড়ে উঠছে অটোরিকশা ও ইজিবাইকের স্টেশন। চান্দিনার বাগুর স্টেশন এলাকার আবদুল হামিদ জানান, স্টেশন এলাকায় যানজটের মূল কারণ অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। পুলিশ 'টু-পাইস' পাওয়ার স্বার্থে তাদের জোরালোভাবে কিছুই বলে না। অন্যদিকে স্টেশন এলাকায় মানুষ চলাচলের মূল ফটকের সামনের যাত্রীবাহী বাসগুলো দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে। তিনি বলেন, চান্দিনার স্টেশন রোডে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। ফল ব্যবসায়ীরা দখল করে আছে এসব স্থান। এসব অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা না হলে ঈদের সময় যানজটের সীমা থাকবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পূর্বাঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, ঈদ সামনে রেখে জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা হাটবাজারের অবৈধ স্থাপনা ও সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক : রাস্তার ওপর হাটবাজার, স্থানে স্থানে স্পিডব্রেকার, অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, রিকশা, ভ্যান, অটোবাইকের মতো কম গতির যানবাহনের কারণে ঈদের আগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার রাস্তায় কমপক্ষে ১৫টি পয়েন্টে মহাসড়ক লাগোয়া হাটবাজার বসে। মানিকগঞ্জ অংশে তরা ও বরঙ্গাইলে সপ্তাহে দুদিন বসে হাট। এ ছাড়া প্রতিদিন বসছে বাজার। গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বসে সবজির হাট। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পাশে রয়েছে সবজির পাইকারি বাজার। এই রুটে চলাচলকারী চালকরা জানান, এসব হাটবাজারে আসা শত শত মানুষ আর যানবাহন মহাসড়কে উঠে এসে যানজটের সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া এলোপাতাড়ি গাড়ি পার্ক করার ফলে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে মানিকগঞ্জ, বানিয়াজুড়ি, মহাদেবপুর, বরঙ্গাইল, টেপড়া, উথুলী বাসস্ট্যান্ডে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রয়েছে প্রায় ৭০টি স্পিডব্রেকার। চালকরা অভিযোগ করেন, ঘন ঘন স্পিডব্রেকারের কারণে তাঁদের এই রাস্তা পার হতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া মার্কিংবিহীন এবং অপরিকল্পিতভাবে খাড়া স্পিডব্রেকারের কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানিকগঞ্জের এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মহাসড়কে এভাবে স্পিডব্রেকার দেওয়ার নিয়ম নেই। তিনি জানান, বেশির ভাগ স্পিডব্রেকার নির্মাণ করা হয়েছে স্থানীয়দের দাবির মুখে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান জানান, ঈদের আগে ঢাকা-আরিচা সড়কের পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্পিডব্রেকার ছাড়া বাকিগুলো তুলে নেওয়া হবে। রাস্তার সব ধরনের মার্কিং নতুন করে রং করা হবে। তরা টোল প্লাজায় এক পাশের সড়ক মেরামত করে ঈদের আগেই চালু করা হবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক : এ মহাসড়কে হাটে হাটে আটকে থাকে গাড়ি। মহাসড়কের ওপর সবজির হাট ও বাবুরহাটে ট্রাকে মালামাল ওঠানো-নামানোর কারণে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না। এ মহাসড়কের নরসিংদীর অংশে সাতটি সবজির হাট বসে। বাজারগুলো হলো- কোন্দারপাড়া, সৃষ্টিগড়, যোশর, জঙ্গী শিবপুর, মরজাল, বারৈচা ও নারায়ণপুর। পাহাড় উজলাব গ্রামের কৃষক সামসুল হক বলেন, 'পাইকাররা ঘিঞ্জি পরিবেশে যেতে চান না। এ জন্য ভালো দামের আশায় পুলিশের ধাওয়া খেয়েও মহাসড়কে সবজির ভ্যান রাখি।'
বারৈচা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, 'বাজারের নিজস্ব জমি না থাকায় মহাসড়কের মধ্যেই হাট বসছে। ঈদের মধ্যে মহাসড়কে চাপ বেশি থাকে তাই আমরা চেষ্টা করছি কৃষকদের বুঝিয়ে বাজারের ভেতরে পাঠাতে। এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি আমরা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে হাটের দিনগুলোতে মাইকিং করে কৃষকদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি।' হাইওয়ে পুলিশের ভৈরব থানার এসআই মোখলেছুর রহমান বলেন, 'বাজারে স্থান না থাকায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও কোনো লাভ হয় না। প্রশাসন উদ্যোগী না হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।'
একইভাবে দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি কাপড়ের হাট বাবুরহাট বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের ওপর ট্রাকের লম্বা লাইন দেখা যায়। ঢাকা-সিলেট সড়কে চলাচলকারী সোহাগ পরিবহনের গাড়িচালক বেনজির মিয়া বলেন, 'এ মহাসড়কের অবস্থা ভালো হওয়া সত্ত্বেও হাটগুলোর কারণে আমাদের প্রায়ই দীর্ঘসময় যানজটের কবলে পড়তে হয়।'
নারায়ণগঞ্জ : দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৩৮টি জেলার মানুষ নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করে। এ ছাড়া ঢাকা-পাগলা-পঞ্চবটি সড়ক হয়ে মুন্সীগঞ্জেও চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো পথে পথে থমকে দাঁড়ায় তীব্র যানজটে। এখানে পঞ্চবটি, ফতুল্লা, পাগলা, মুন্সীখোলা, জুরাইন যানজটপ্রবণ এলাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, সাইনবোর্ড, শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর, রূপসী ও ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করে। এ ছাড়া বন্দরের মদনপুর মোড়, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও মেঘনা সেতুর টোলঘর এলাকায় যাত্রীদের আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার আড়ত এলাকায় বাসস্ট্যান্ড, শনির আখড়া, রায়েরবাগ এলাকায় ফুটপাতে দোকানপাট ও অবৈধ স্ট্যান্ড ওই পথে যানজটের মাত্রাকে তীব্র করেছে। শিকড় পরিবহনের চালক সিরাজ বলেন, 'ফ্লাইওভার নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তি নেই। এ ছাড়া মহাসড়কের চার লেন করার কাজ শেষ না হওয়ায় ঈদ সামনে রেখে রায়েরবাগ থেকে শিমরাইল মোড় পর্যন্ত প্রবল যানজট হতে পারে।'
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিমরাইল মোড় এলাকায় দূরপাল্লার বাসগুলো অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পুলিশ এসব দেখেও না দেখার ভান করে। পুলিশের নাকের ডগায় বসানো হয়েছে অর্ধশতাধিক বাস কাউন্টার।
তবে শিমরাইল এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই-২) খায়রুল হাসান বলেন, 'এ বছর যানজট নিরসনে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো বাসই যেন অনির্ধারিত স্থানে থামতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ তৎপর।' ঢাকা থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে পোস্তগোলা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাওয়া, বৃহত্তর ফরিদপুর ও খুলনাগামী পরিবহনগুলোও অহরহ যানজটের শিকার হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ : ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় যেতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক, ঢাকা-পঞ্চবটি (নারায়ণগঞ্জ)-মুক্তারপুর-মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। তবে ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের নিমতলায় যানজটে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে।
(প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য তথ্য পাঠিয়েছেন কালের কণ্ঠের গাজীপুর প্রতিনিধি শরীফ আহ্‌মেদ শামীম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি অরণ্য ইমতিয়াজ, কুমিল্লা প্রতিনিধি আবুল কাশেম হৃদয়, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি সাব্বিরুল ইসলাম সাবু, নরসিংদী প্রতিনিধি সুমন বর্মণ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি দিলীপ কুমার মণ্ডল ও মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মো. মাসুদ খান)

No comments

Powered by Blogger.