বিষাদে বিদায় টিকোলোর

কটক থেকে কলকাতা, বারাবতি থেকে ইডেন। আকাশপথে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার। কিন্তু স্টিভ টিকোলোর কাছে ১৫ বছরের দূরত্ব। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ থেকে ২০ মার্চ ২০১১—মাঝখানে দীর্ঘ ১৫ বছর, ১৩৪টি ওয়ানডে। ২৪ বছরের তরুণ কটকে সেদিন নিজের অভিষেক ম্যাচে করেছিলেন ৬৫ রান। আরেকটি বিশ্বকাপ দিয়েই শেষ হলো যাত্রা। শেষটা অবশ্য মাত্র ১০ রান দিয়ে।
শেষটা ভালো হলো না স্টিভ টিকোলোর, নিজের ব্যর্থতার সঙ্গে যোগ হয়েছে দলীয় ব্যর্থতা। কেনিয়ার ক্রিকেটের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকাটিকে একটা বড় বিদায়ী উপহার দিতে চেয়েছিল দল। এই ম্যাচের নেতৃত্বও সঁপে দেওয়া হয়েছিল তাঁর কাঁধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘নির্দয়’ জিম্বাবুয়ে টিকোলোকে উপহার দিল ১৬১ রানের পরাজয়।
বিশ্বকাপ থেকে শূন্য হাতে বিদায় নিল ২০০৩-এর সেমিফাইনালিস্টরা। এবারের আসরে চরমভাবে বিপর্যস্ত কেনিয়া হেরেছিল কানাডার সঙ্গেও। কাল শেষ ম্যাচটা ছিল তাদের শেষ আশা। কিন্তু সেই আশা শেষ হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে ৩০৮ রান করাতেই। ক্রেগ আরভিন আর ভুসি সিবান্দার দুটি ষাটের ইনিংসের সঙ্গে টাটেন্ডা টাইবুর ফিফটি—সব মিলে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপে ৩০০ পেরোনো স্কোর এনে দিয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। টিকোলোর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায় কেনিয়ার আশা। স্কোর যে তখন ২৭/৩।
কাল ইডেনে জিম্বাবুয়ের স্পিনারদের হাতে নাকাল হয়ে কেনিয়া শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রানে অলআউট। জিম্বাবুয়ের চার স্পিনার মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। পাঁচজন ব্যাটসম্যান এলবিডব্লুর শিকার, বিশ্বকাপ সপ্তমবার দেখল এ ঘটনা। নেহেমিয়া ওদিয়াম্বোই যা একটু প্রতিরোধ গড়েন তাঁর অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে।
ম্যাচ শেষে টিকোলোর কণ্ঠে থাকল হতাশাই, ‘ভালো খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে রকম কোনো জুটিই হলো না আমাদের। এই ম্যাচ থেকে তরুণেরা ইতিবাচক দিকগুলো নিতে পারলে সেটাই হবে আমাদের বড় পাওয়া।’ বললেন নিজের কথাও, ‘ক্যারিয়ারের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। অনেক উত্থান-পতন ছিল। কিন্তু নিজের দেশের হয়ে অনেক গর্ব নিয়েই খেলেছি।’

No comments

Powered by Blogger.