নারী ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ৪০০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাপী নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নে চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করার কথা ঘোষণা করেছেন। বিভিন্ন দেশের সরকার, জনসেবামূলক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই অর্থ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এর মাধ্যমে নিউইয়র্কে সফলভাবে শেষ হয়েছে জাতিসংঘের তিন দিনব্যাপী সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) শীর্ষ সম্মেলন। এতে দারিদ্র্য মোচনের ওপর আলোকপাত করা হয়।
বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য মোচনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মধ্যে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়ন অন্যতম। এর আগে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এ উদ্যোগ সফল হয়নি।
গতকাল বান কি মুন এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা জানি যে কী করলে নারী ও শিশুর জীবন রক্ষা পাবে। সব ক্ষেত্রেই নারী ও শিশুর অবস্থা সংকটপূর্ণ। এ সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বের প্রয়োজন।
বান কি মুন বলেন, নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তাঁর এই বৈশ্বিক কৌশল ২০১৫ সাল নাগাদ এক কোটি ৬০ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে। তিনি বলেন, এক দশক আগে যে আটটি মূল উন্নয়ন লক্ষ্য বেছে নেওয়া হয়, তার মধ্যে দুটি সবচেয়ে ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তা হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা মা ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু হ্রাস।
জাতিসংঘ বলেছে, নারী ও শিশুর পেছনে এই ব্যয় দারিদ্র্য কমাবে, প্রবৃদ্ধি বাড়াবে। নারী ও শিশুর এই সেবা পাওয়ার বিষয়টি মানুষ হিসেবে তাদের মৌলিক অধিকার।
সম্মেলনে ১৪০টি দেশের নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধানরা যোগ দেন। নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়ন তহবিল গঠনে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, জাপান, রাশিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোর অবদান রয়েছে। আরও অবদান রয়েছে আফগানিস্তান থেকে জাম্বিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই তহবিল গঠনে অবদান রাখেন মেক্সিকোর ধনকুবের কার্লোস স্লিম ও মাইক্রোসফটের কর্ণধার বিল গেটস। মানবাধিকার সংস্থার মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে এলজি ইলেকট্রনিকস ও ফাইজার।
এ ব্যাপারে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, নারী ও শিশুর জীবন রক্ষায় একসঙ্গে এত দাতা এর আগে কখনো এগিয়ে আসেননি। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতা দেশগুলোর মধ্যে একটি নরওয়ে।

No comments

Powered by Blogger.