চাঁদ, শুক্র ও মঙ্গল গ্রহে নভোযান পাঠাবে চীন

মহাকাশ অভিযানের ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। ২০১৫ সাল নাগাদ শুক্র গ্রহে একটি নভোযান পাঠাবে বলে আশা করছে তারা। পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহেও প্রথমবারের মতো নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি।
২০০৩ সালে ইয়াং লিউই চীনের প্রথম নভোচারী হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণ করেন। তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের পত্রিকা পিপলস ডেইলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে চীন প্রথম মানববিহীন মহাশূন্য গবেষণাগার তিয়ানগং-১ পাঠাবে। এরপর তারা পাঠাবে প্রথম মানববিহীন মহাকাশযান শেনঝাউ-৮। ২০১২ সালে পাঠাবে মহাকাশযান শেনঝাউ-৯ ও ১০। এর মধ্যে প্রথমটিতে নভোচারী থাকবে, পরেরটিতে থাকবে না। ২০২০ সালে তারা পাঠাবে প্রথম মহাকাশকেন্দ্র, যার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করার ক্ষমতা থাকবে।
চীনের চন্দ্রাভিযান কর্মসূচির প্রধান কর্মকর্তা ইয়ে পেইজিয়ান বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ চাঁদে নভোযান পাঠানোর আশা করছেন তাঁরা। ২০২৫ সালে নভোচারীসহ নভোযান পাঠানো হবে। ২০১৩ সালে মঙ্গল গ্রহে ও ২০১৫ সালে শুক্র গ্রহে নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এর আগে চীনের চন্দ্রাভিযান কর্মসূচির প্রধান প্রকৌশলী উ ওয়েইরেন বলেন, চাঁদে নভোযান পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বছর শেষ হওয়ার আগেই চাঁদ অভিমুখে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে নভোযান পাঠানো হতে পারে।
মহাকাশ অভিযানের নামে চীন মহাশূন্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নামছে কি না, এ ধরনের আশঙ্কার কথা বিশ্লেষকেরা নাকচ করে দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.