সোনালি প্রজন্ম? ধের‌্যা

নব্বইয়ের দশকে উঠে আসা ইংল্যান্ড ফুটবলারদের উদ্দেশ করে ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম ক্রোজিয়ার প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন শব্দটা—সোনালি প্রজন্ম। সেই থেকেই ইংল্যান্ড ফুটবল দলের সঙ্গে ‘সোনালি প্রজন্ম’ শব্দটি আষ্টেপৃষ্ঠে গাঁথা। বিশ্বকাপ, ইউরো—প্রতিটি বড় টুর্নামেন্ট আসতেই ইংলিশরা আশায় বুক বাঁধে ‘সোনালি প্রজন্মের’ হাত ধরে ঘরে উঠবে শিরোপা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
রুনি-টেরি-জেরার্ড-ল্যাম্পার্ড, ফ্যাবিও ক্যাপেলোর এই ‘সোনালি প্রজন্ম’কে ঘিরে ইংলিশদের উচ্চাশা, ৪৪ বছর পর এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে ইংল্যান্ড। সবাই যখন রুনি-টেরিদের এই ইংল্যান্ডকে ‘সোনালি প্রজন্ম’ বলতে অজ্ঞান, তখন গ্যারি নেভিল হেসেই উড়িয়ে দিচ্ছেন দাবিটিকে। তাঁর বিশ্বাস, এই ইংল্যান্ড কোনোভাবেই সোনালি প্রজন্ম হতে পারে না! তাঁর কথা, যারা কোনো শিরোপাই জিততে পারল না, তারা আবার কিসের সোনালি প্রজন্ম!
১৯৯৫ সালে অভিষেকের পর নেভিল রাইটব্যাক হিসেবে খেলেছেন ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ৮৫টি ম্যাচ। যার শেষটি ২০০৭ সালে। ইনজুরি আর ফর্মহীনতার সঙ্গে বয়সের ভার মিলিয়ে সেই থেকে দলের বাইরে থাকা নেভিল বলেছেন, ‘১০ বছর ধরে কারণে-অকারণে ব্যবহার করে “সোনালি প্রজন্ম” শব্দটিকেই মেরে ফেলা হয়েছে। যাও একটু ছিল, অনেক নতুন খেলোয়াড় যোগ হওয়ায় সেটাও আর নেই।’ টাইমস মাল্টাকে রোববার তিনি আরও বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, “সোনালি প্রজন্ম” তখন থেকেই খুব স্বর্ণোজ্জ্বল নয় যখন আমি দলে ছিলাম। আমরা কোনো ট্রফি জিততে পারিনি কিংবা নিজেদের যোগ্যতা বিচার করতে পারিনি। সোনালি প্রজন্ম তখনই বলা যাবে, যখন আপনি শিরোপা জিতবেন।’
নেভিলের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করতে হলে ইংল্যান্ডকে অবশ্যই অতীতের পেনাল্টি দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে, ‘আমি অংশ নিয়েছি এ রকম চার-পাঁচটি টুর্নামেন্টেই আমরা পেনাল্টিতে বাদ পড়েছি। কাজেই এটা বলতেই হবে, পেনাল্টি শটে আমাদের সমস্যা আছে। আর ভালো কিছু করতে হলে ইংল্যান্ডকে অবশ্যই এটা নিয়ে ভাবতে হবে। এখন দলে এমন একজন কোচ আছেন যিনি মানসিকভাবে শক্তিশালী। আশা করি, খেলোয়াড়েরা পেনাল্টি শট নেওয়ার সময় স্নায়ুচাপটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’

No comments

Powered by Blogger.