পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিতে অনড় সিউল

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে গৃহীত কঠোর নীতি থেকে সরে না আসার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাক এক ভাষণে এ কথা জানান। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনায় দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লি মিউং-বাক বলেন, তাঁর দেশ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হয়তো ছাড় দিতে পারে, কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে আমরা উত্তর কোরিয়ার অপরাধকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় চেওনান ডুবির ঘটনা ঘটতে পারে।’
গত মাসে একটি বহুজাতিক তদন্তদলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত মার্চে উত্তর কোরিয়ার ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরীয় যুদ্ধজাহাজ চেওনান ডুবে যায়। ওই ঘটনায় জাহাজের ৪৬ জন নাবিক নিহত হন। এর প্রতিবাদে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিতসহ বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে দক্ষিণ কোরিয়া। জবাবে ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে উত্তর কোরিয়া যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দেয়।
দুই দেশের সীমান্তে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচারণা চালানোর জন্য লাউডস্পিকার স্থাপন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। গত শনিবার উত্তর কোরিয়া ওই সব লাউডস্পিকার উড়িয়ে দেওয়ার এবং সিউলকে অগ্নিসমুদ্রে পরিণত করার হুমকি দিয়েছে।
সউলে দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গতকাল বেলা তিনটায় দুই কোরিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার কথা। প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফল সম্পর্কে পরিষদের সদস্যদের অবহিত করবে। এরপর উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এ ঘটনায় সিউলের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। কিন্তু রাশিয়া ও চীন এখনো পরিষ্কারভাবে তাদের অবস্থান জানায়নি।

No comments

Powered by Blogger.