৪৮টি বাঘের সঙ্গে ৭২ ঘণ্টা!

৪৮টি বাঘের সঙ্গে থাকতে হবে ৭২ ঘণ্টা। নিঃসন্দেহে দুঃসাহসিক কাজ। তবে শুধু খাঁচার ভেতরে থাকলেই চলবে না, পর্যবেক্ষণ করতে হবে বাঘের জীবনযাপন। দুঃসাহসিক ওই কাজ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যাও ছিল অবিশ্বাস্য রকমের। তিনটি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন ৬৬৭ জন। চীনের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিযুদ্ধের চেয়েও ওই কাজ পাওয়ার লড়াই ছিল অনেক কঠিন।
যাচাই-বাছাইয়ের পর শেষ পর্যন্ত তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছে চীনের একটি সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার এই নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ তিনজনকে ১০ বর্গমিটারের একটি খাঁচায় করে বাঘের একটি বড় খাঁচায় রেখে দেওয়া হবে, যেখানে থাকবে ৪৮টি বাঘ। সেখানে তাঁরা তিন দিন অবস্থান করে বাঘের জীবনযাপন-প্রণালির প্রতিটি দিক রেকর্ড করবেন।
শানজি প্রদেশের জিয়ান শহরে কুইনলিং ওয়াইল্ড অ্যানিমেল সাফারির মুখপাত্র কু হোংটাও বলেন, ‘আমরা বন্য প্রাণী রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে লোকজনের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে চাই। তাই এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
কু হোংটাও বলেন, বাঘের খাঁচায় থাকতে আগ্রহী ৬৬৭ জন সাহসী মানুষের আবেদনপত্র পেয়েছেন তাঁরা। এতে তাঁরা বিস্মিত। তিনি আরও বলেন, তাঁদের শুধু তিনজন প্রয়োজন ছিল। চীনের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির চেষ্টার চেয়েও বাঘের খাঁচায় প্রবেশের ওই চাকরির প্রতিযোগিতা ছিল কঠিন।
চায়না নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, ওই কর্মসূচির জন্য শেষ পর্যন্ত তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মনোনীত হন। তাঁরা হলেন লি হাং, গান জিয়াওটিয়ান ও মেং জিহুই।
দিন-রাত ৪৮টি বাঘের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করার জন্য তাঁদের ক্যামেরা, ল্যাপটপ কম্পিউটার ও নোটবুক দেওয়া হয়েছে।
জায়গা ও সঙ্গী দখলের জন্য বাঘের লড়াই রেকর্ড করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাঁদের। বাঘের খাদ্যাভ্যাস ও বসবাসের অভ্যাসের বিষয়টিও রেকর্ড করতে বলা হয়েছে।
তিন সদস্যের ওই দলের একমাত্র নারী সদস্য পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্রী মেং জিহুই বলেন, ‘বাঘ কথা বলতে পারে না, কিংবা ভোট দিতে পারে না। আমাদের অবশ্যই তাদের জন্য ভাবতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.