আইসিএল ক্রিকেটাররা সিডন্সের ক্লাসে

নেট থেকে ফিরে প্যাড খুলছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। জেমি সিডন্স পাশে দাঁড়ানো। কোচকে কী একটা বলতে রকিবুল হাসান কাছে আসতেই শাহরিয়ারকে দেখিয়ে সিডন্সের রসিকতা, ‘বল তো, ও যদি দলে ফেরে কে বাদ পড়বে?’ রকিবুল এই কথায় অন্য কোনো ইঙ্গিত খুঁজে পাওয়ার কারণেই কি না তাত্ক্ষণিক পাল্টা রসিকতা করে কিছু বলতে পারলেন না।
রকিবুলের সঙ্গে সিডন্সের এই রসিকতা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে, ঈদের আগে ডেভেলপমেন্ট কোচদের একটা কোর্স শেষে। সিডন্সের ক্লাসে তার দিন তিনেক আগে থেকেই আসতে শুরু করেছেন শাহরিয়ার নাফীস, অলক কাপালি, আফতাব আহমেদ আর ধীমান ঘোষ। আইসিএল থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে এই চারজনকে কোচ নিজ উদ্যোগেই অনুশীলনে আসতে বলেছেন। উদ্দেশ্য, তাঁদের ফিটনেসের অবস্থা দেখা, প্রয়োজনীয় ফিটনেস ট্রেনিংয়ের মধ্যে রাখা।
১০ বছরের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়ার পর আইসিএল ক্রিকেটারদের ‘কুলিং পিরিয়ড’ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার জন্য এর পর থেকেই বিবেচনায় আসার কথা আইসিএল ক্রিকেটারদের। তবে কোচ-নির্বাচকদের মনোভাব বলে দিচ্ছে, বিবেচনায় তাঁরা এরই মধ্যে আসতে শুরু করে দিয়েছেন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন জাতি সিরিজেই হয়তো জাতীয় দলে দেখা যাবে আইসিএল-ফেরত কাউকে।
আলোচনায় সবচেয়ে বেশি আছেন শাহরিয়ার নাফীস ও আফতাব আহমেদ। তবে ফিটনেস এবং চলতি প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স এগিয়ে রাখছে বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ারকে। এর সঙ্গে জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী জুনায়েদ সিদ্দিকের সাম্প্রতিক খারাপ পারফরম্যান্স তাঁর ফেরার পথটাকে করে দিচ্ছে আরও প্রসারিত। নির্বাচকদের একজন তো কথায় কথায় শাহরিয়ারের ব্যাপারে তাঁর ইতিবাচক মতামতও জানিয়ে দিলেন, ‘আমার মনে হয়, আইসিএল ক্রিকেটারদের ব্যাপারটা এই সিরিজেই আমাদের ভাবা উচিত। শাহরিয়ার নাফীস তো খুবই ভালো খেলছে। তিন জাতি সিরিজের দল গঠনের আলোচনায় অবশ্যই ব্যাপারটা আসবে।’
সেই আলোচনার শিরোনাম হওয়ার কথা—জুনায়েদ সিদ্দিক না শাহরিয়ার নাফীস? গত ৮টি ওয়ানডে ইনিংসে জুনায়েদের কোনো ফিফটি নেই। সর্বশেষ ফিফটি করেছিলেন গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শেষ ওয়ানডেতে। এর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরপর দুই সিরিজের নয় ম্যাচে আট ইনিংসে তাঁর রান মাত্র ১৪১, সর্বোচ্চ ৩৮।

No comments

Powered by Blogger.