মোনালিসার হাসিতে হাসবে অন্ধরাও!

যাদের দেখার ক্ষমতা আছে, তারাই এতদিন বিখ্যাত শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসা দেখে আসছে। কিন্তু অন্ধ বা কোনো কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলা মানুষ এত বিখ্যাত একটা চিত্রকর্ম দেখা থেকে বঞ্চিত হবে, তাই কি হয়? এবার স্পেনের মাদ্রিদের প্রাডো মিউজিয়ামে এমন এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে যেখানে অন্ধরাও ‘দেখতে’ পারবেন বিখ্যাত মোনালিসা। এ ‘দেখতে’ পারার মানে হলো হাত দিয়ে ছুঁয়ে অনুভব করা। অন্ধদের জন্য এমন ধরনের প্রদর্শনী এবারই প্রথম। প্রদর্শনীতে মোনালিসা ছাড়াও বিশ্ববিখ্যাত আরও ছয়টি চিত্রকর্ম স্থান পাবে। প্রদর্শনীটির নাম দেয়া হয়েছে ‘টাচিং দ্য প্রাডো’। ৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী ২৮ জুন পর্যন্ত চলবে। চিত্রকর্মগুলোকে মূল চিত্রকর্মের আলোকে ত্রিমাত্রিক রূপ দেয়া হয়েছে। যাতে অন্ধরা এগুলো ছুঁয়ে অনুভব করতে পারে।
একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এ চিত্রকর্মগুলোকে পুনরায় তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ এ পদ্ধতিটির নাম ‘ডিডো’। এটা এমন এক ধরনের প্রিন্টিং পদ্ধতি যাতে মূল ছবির একটি হাইরেজুলেশন ছবি এবং সঙ্গে মুখমণ্ডল, জামা-কাপড়সহ অন্যান্য উপাদান এমনভাবে প্রিন্ট করা হয়, যাতে অন্ধরা হাত দিয়ে ছুঁয়ে অনুভব করতে পারে। রুবেন নামে এক অন্ধ বলেন, আমার জন্য ডিডো হচ্ছে কোনো কিছু দেখার বা বোঝার আরেকটি পন্থা, বিশ্বের সঙ্গে আমার সম্পর্কের একটি যোগসূত্র। তিনি বলেন, আমার আঙুলগুলো আমার চোখ। তাদের সাহায্যেই আমি দেখি, অনুভব করি। এমনকি জিনিসটি কেমন হতে পারে সে ধারণাও তৈরি হয়ে যায় আমার। একটি ডিডো প্রিন্ট করতে ৪০ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। রংয়ের লেয়ার, পুংখানুপুংখভাবে প্রতিটি অংশের থ্রিডি প্রিন্টিং করা হয় এ পদ্ধতিতে। নিউইয়র্ক টাইমস।

No comments

Powered by Blogger.