২৫ ছক্কা ৩৫ চারে ৪৪ ওভারের ম্যাচেই ট্রিপল সেঞ্চুরি!

আক্ষরিক অর্থেই সবাইকে স্রেফ দর্শক বানিয়ে ছেড়েছিলেন জেমস টাল। দর্শকেরা তো বটেই, প্রতিপক্ষ, এমনকি নিজ দলের খেলোয়াড়েরাও শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছেন টালের টালমাটাল ঝড় তোলা ব্যাটিং। অস্ট্রেলিয়ার এক ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ৪৪ ওভারের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ২৫ ছক্কা ও ৩৫ চারে তুলেছেন ৩৪১ রান। কেবল চার-ছক্কা থেকেই এসেছে ২৯০ রান!

কুইন্সল্যান্ড ওয়্যারহাউস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন টুর্নামেন্টে মাতের হিল দলের হয়ে খেলেছেন টাল। প্রতিপক্ষ ছিল সাইলেন অ্যাসাসিন। প্রতিপক্ষের নাম যতই হামবড়া হোক, উল্টো তাদেরই সবর ঘাতক হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন টাল। দলের ৫ উইকেটে তোলা ৪৫৭ রানের সিংহভাগই জোগান দিয়েছেন তিনি একা। কারণ দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে ট্রয় ডিনের ব্যাট থেকে, সেটিও মাত্র ৩৫! ডিনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ২১২ রানের জুটি গড়েন টাল। এখান থেকেই তো স্পষ্ট, সতীর্থদেরও স্রেফ দর্শক বানিয়ে ফেলেছিলেন টাল।
হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রতিযোগিতায় নয়, কিন্তু ৪৪ ওভারের ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকানো চাট্টিখানি কথা কিন্তু নয়। স্বীকৃত এক দিনের ম্যাচে এখন পর্যন্ত কেউ ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ওয়ানডের পর সবচেয়ে স্বীকৃত ‘লিস্ট এ’ ম্যাচে ২৬৮ পর্যন্ত হাঁকিয়েছিলেন আলি ব্রাউন। ২০০২ সালের জুনে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে সারের হয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর কৃতিত্বটা কিন্তু কোনো পুরুষের নয়, একজন নারীর। সেটি করে দেখিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্ডা ক্লার্ক। পরে শচীন টেন্ডুলকার এই কীর্তি গড়েন ২০১০ সালে গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ওয়ানডেতে মোট তিনটি ডাবল সেঞ্চুরিই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। টেন্ডুলকারের পর ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বীরেন্দর শেবাগ (২১৯) এবং রোহিত শর্মা (২০৯)। সূত্র: জি নিউজ, ক্রিকইনফো।

No comments

Powered by Blogger.