পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অর্থ নেই মিয়ানমারের: দূত উইন

মিয়ানমারের এমন অর্থনৈতিক শক্তি নেই যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে। গত বুধবার আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মিয়ানমারের দূত তিন উইন সংস্থার সদস্য দেশগুলোর বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমা দেশগুলো সন্দেহ করে আসছে, গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে মিয়ানমার।
গত বছর জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়, উত্তর কোরিয়া মিয়ানমার, ইরান ও সিরিয়ায় নিষিদ্ধ পারমাণবিক প্রযুক্তি সরবরাহ করতে পারে।
২০০৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া থেকে মিয়ানমারে এ ধরনের পারমাণবিক প্রযুক্তির সম্ভাব্য হস্তান্তরের ব্যাপারে তিনি উদ্বিগ্ন। উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। এর মধ্যে তারা দুটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে।
সম্মেলনে তিন উইন বলেন, মিয়ানমারকে আবার বলতে হচ্ছে, তারা এমন কোনো অবস্থানে নেই যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করবে। এমন অস্ত্র বানানোর মতো আর্থিক সংগতিও নেই তাদের।
মিয়ানমারের দূত বলেন, অতীতে রাশিয়ার সহযোগিতায় পরমাণু নিয়ে গবেষণা চালানোর আয়োজন করেছিল মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে ভুল বুঝতে পারে—এ আশঙ্কায় পরে গবেষণা স্থগিত করা হয়। তিনি বলেন, এই গবেষণার লক্ষ ছিল অন্যান্য দেশের তুলনায় এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের পিছিয়ে না পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আরেকটি লক্ষ ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে পারমাণবিক প্রযুক্তির আবেদনকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।
তিন উইন বলেন, মিয়ানমার পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যেমন সমর্থন করে, তেমনি শান্তিপূর্ণ লক্ষ পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারের সব বৈধ বিষয়েও সমর্থন জানায়।
এর আগে আণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে দেশটির নির্বাসিত একটি দল। মিয়ানমার এ অভিযোগ অস্বীকার করে। বেশির ভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সক্ষমতা থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে দেশটি।

No comments

Powered by Blogger.