টানা তৃতীয় দিন দরপতন

আগের দুই দিনের মতো গতকাল বুধবারও দেশের শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক ছিল নিম্নমুখী। এ নিয়ে টানা তিন দিনের দরপতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ৮৩ পয়েন্টের মতো।
অবশ্য বাজার বিশ্লেষকেরা এ দরপতনকে শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখছেন। তাঁদের মতে, কয়েক দিনের টানা দর বাড়ার পর অনেক বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নিয়েছেন। ফলে শেয়ারের বিক্রি-চাপ বাড়ায় কিছুটা দরপতন প্রত্যাশিতই ছিল।
তবে হঠাৎ করেই জ্বালানি খাতের দুই কোম্পানি যমুনা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা আসায় অনেকেই বাজারে মূল্য সংশোধনের আরও কিছুটা ত্বরান্বিত হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের ধারণা ছিল, একসঙ্গে অনেক শেয়ার বিক্রির ঘোষণা আসায় বাজারদরের চেয়ে তুলনামূলক কম দামেই সরকারি কোম্পানির শেয়ার কেনা যাবে। তাই অনেকেই হয়তো অন্যান্য খাতের শেয়ার বিক্রি করে এসব শেয়ার কেনার প্রতি আগ্রহী হবেন। ফলে সরকারি কোম্পানির শেয়ারের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য খাতের শেয়ারের দরও কমবে।
গতকাল দিনের শুরুতে এ ভাবনার কিছুটা প্রতিফলন ঘটে। যমুনা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম ছাড়াও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন, পাওয়ার গ্রিড এবং ডেসকোসহ অন্যান্য সরকারি কোম্পানির শেয়ারের দামও কমে যায়।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজার পরিস্থিতি দেখে তিতাস, ডেসকো ও পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার ছাড়া হবে। সেই হিসেবে এসব কোম্পানির শেয়ার আসতে আরও কিছু সময় লাগবে। তা ছাড়া একটি নির্দিষ্ট মূল্যের নিচে শেয়ারগুলো বিক্রি করা হবে না বলেও আলোচনা রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়েই গতকাল ডিএসইর লেনদেন শুরু হয়। গতকাল দিনশেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬২৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
ডিএসইতে গতকাল এক হাজার ৭২৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৭ কোটি টাকা বেশি। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৩১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৯৭৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ১৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।

No comments

Powered by Blogger.