প্রশিক্ষণে বিমানবাহী রণতরী ব্যবহার করবে চীন

ইউক্রেনের কাছ থেকে কেনা একটি পুরোনো বিমানবাহী রণতরী মেরামত করে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করবে চীন। ব্যাপক আধুনিকায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তা করা হবে। গতকাল বুধবার এ কথা নিশ্চিত করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
চীনের প্রতিরক্ষা-ব্যয় বৃদ্ধি ও সামরিক সক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে তাদের প্রতিবেশী দেশগুলো। রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম, এমন জঙ্গি বিমানসহ উচ্চপ্রযুক্তির নতুন নতুন যুদ্ধসরঞ্জাম প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে চীনের সেনাবাহিনীতে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং ইয়ানশেং রণতরী কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আত্মরক্ষামূলক সামরিক নীতিতে চীন অবিচল থাকবে। কাজেই চীনকে নিয়ে প্রতিবেশীদের উদ্বেগের কিছু নেই। তবে নিজেদের বিশাল সমুদ্রসীমা ও উপকূলভাগ সুরক্ষিত রাখার অধিকার চীনের আছে। এটা চীনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জেং ইয়ানশেং বলেন, ‘বিমানবাহী রণতরী তৈরি একটি খুব জটিল কাজ। কাজেই প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য আমরা একটি পুরোনো রণতরী মেরামতের মাধ্যমে নতুন করছি।’
বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, এই প্রথম বিমানবাহী রণতরী কেনার বিষয়টি স্বীকার করল সরকার। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে এ নিয়ে কথা বলছিলেন, যদিও তাঁরা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে চীনের উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নজরদারি নিয়ে উদ্বেগ করে চীন জানিয়েছে, এতে দুই দেশের কৌশলগত সামরিক-স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি বড় বাধা।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা বিমানের পিছু ধাওয়া করে চীনের জঙ্গি বিমান তাইওয়ানের সীমানায় ঢুকে পড়ে বলে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়। এরপর গত সোমবার মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন জানান, বেইজিংয়ের আপত্তি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র নজরদারির এ কাজ করে যাবে।

No comments

Powered by Blogger.