সব ছাপিয়ে মাশরাফি

৩০ থেকে ২৩, ২৩ থেকে ১৫ জনের চূড়ান্ত দল। সুপার লিগ চললেও জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারদের চিন্তাভাবনায় এখন শুধুই বিশ্বকাপ। কাল থেকে শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতিও।
বিশ্বকাপে না থেকেও এই প্রস্তুতিতে থাকছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সব ছাপিয়ে আলোচনাটা তাঁকে নিয়েই বেশি। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচকেরা মাশরাফির জন্য সম্ভাবনার একটা মৃদু আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। মাশরাফি কতটা ছড়াতে পারবেন সেই আলো?
প্রতিদিনই একটু একটু করে এগোচ্ছেন। পরশু ১৬ মিটার রানআপে বল করে কাল পাঁচ ওভার বোলিংয়ে সেটা বাড়িয়ে নিলেন ১৮ মিটারে। পরের লক্ষ্য ২১ মিটারের পুরো রানআপ। কিন্তু পথটা যখন পুনর্বাসনের, প্রতিটি দিনে আসে নতুন ঝুঁকির আশঙ্কাও। জাতীয় দলের বোলিং কোচ ইয়ান পন্ট সেটাই মনে করিয়ে দিলেন কাল অনুশীলন শেষে, ‘অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আশা করা যায়, কয়েক দিনের মধ্যেই ও পুরো রানআপে বল করতে পারবে। তবে পুনর্বাসন-প্রক্রিয়ায় আজ হয়তো আপনি ভালো বোধ করবেন, কিন্তু কালই আবার ফিরে আসতে পারে ব্যথা।’
বিশ্বকাপের আগেই যে মাশরাফি পুরো রানআপে বল করতে পারবেন, সেটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। তাই বলে মাশরাফি বিশ্বকাপ খেলবেনই, সে নিশ্চয়তা এখনই দেওয়া যাবে না। তার জন্য দরকার ম্যাচ ফিটনেস, আহতও হতে হবে অন্য কাউকে। কিন্তু কোচ হিসেবে কারও এমন অমঙ্গল কীভাবে চান পন্ট! ‘শুনতে হয়তো ভালো লাগবে না, কিন্তু কারও ইনজুরিতে পড়ার মধ্য দিয়ে মাশরাফি দলে আসুক সেটা আমি চাইব না। আমরা চাই, দলের সবাই ইনজুরিমুক্ত থাকুক। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি সত্যি সত্যি ইনজুরিতে পড়ে যায় এবং মাশরাফিও তত দিনে ফিট হয়ে ওঠে, তার জন্য দরজা খোলা থাকবে। মাশরাফির মতো একজন খেলোয়াড় বিশ্বকাপ দলে থাকাটা হবে দারুণ।’
মাশরাফি অবশ্য কালও বলেছেন, বিশ্বকাপের চিন্তা না করে আপাতত ফিটনেসই ফিরে পেতে চাইছেন। সে লক্ষ্যের দিকে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও মনে হচ্ছে তাঁর, ‘যত দিন যাচ্ছে তত ভালো বোধ করছি। ফিজিও যা যা করতে বলছে সবই করতে পারছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুরো রানআপে বল করব। ফিজিও বলেছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। আমারও আশা খুব দ্রুত শতভাগ ফিটনেস পাব।’
পুরো রানআপে বল শুরুর পর আবাহনীর হয়ে সুপার লিগের দু-একটা ম্যাচ খেলার ইচ্ছা মাশরাফির। তবে এ ক্ষেত্রেও ফিজিওর মতামতকেই গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.