দক্ষিণ কোরিয়ার নৌ-মহড়া যুদ্ধ ঘোষণার শামিল

গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র পাচার রোধে দক্ষিণ কোরিয়া যে বহুজাতিক নৌ-মহড়ার আয়োজন করতে যাচ্ছে, উত্তর কোরিয়া সেটাকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে বর্ণনা করেছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা মিনজু জোসন গতকাল শনিবার এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের মহড়ার আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে অংশ নেওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার তিনটি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। এ দেশগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীও মহড়ায় যোগ দেবে। চার জাতির এ মহড়ায় ১০টি যুদ্ধজাহাজ ও বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর বুসান থেকে দিনব্যাপী ওই মহড়া শুরু হবে। মহড়ার দিন-তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।
মহড়ার ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরীয় দৈনিক মিনজু জোসন। পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার পতুল সরকার ওই মহড়ার মাধ্যমে বহু কষ্টে তৈরি আলোচনার পরিবেশ নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে। এটা একধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও উসকানিমূলক সামরিক তৎপরতা। দক্ষিণ কোরিয়া যা করছে, সেটা তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রিত ওই পত্রিকার আরেক জায়গায় বলা হয়েছে, মার্কিন হুমকি মোকাবিলায় প্রয়োজনে তারা সেনাবাহিনীকে হাজার গুণ শক্তিশালী করে সাজাবে।

No comments

Powered by Blogger.