মানহীন ওষুধ

ওষুধ মৃত্যুর কারণ হলে অবশ্যই তা উদ্বেগের বিষয়। প্যারাসিটামল ট্র্যাজেডির পর অভিভাবকেরা ওষুধ কিনতে আতঙ্কে ভুগছেন। ১৯৯২ সালে শিশুদের প্যারাসিটামল সিরাপে বিষাক্ত ডাই ইথাইলিন গ্লাইকলের ব্যবহারের ফলে তিন শতাধিক শিশুর মৃত্যু হয়। এবারও একই কারণে পঁচিশের বেশি শিশুর মৃত্যু ঘটে। এ ধরনের ভেজাল, বিষাক্ত ও মানহীন ওষুধ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া জরুরি। কারণ তদন্ত, সমীক্ষা আর আইনের দীর্ঘাসূত্রতায় হয়তো স্বাভাবিকভাবেই এ আলোচনা এক সময় থেমে যাবে, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার যে সন্তানকে হারিয়েছে, তা ফিরে পাওয়ার নয়। জনগণকে মানসম্পন্ন ওষুধের ব্র্যান্ড সম্পর্কে সচেতন করাও জরুরি। ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা দরকার।
অথচ গত ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’-এ ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তার প্রতিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। (প্রথম আলো ৩ আগস্ট ’০৯) বিক্রয়কারী উত্পাদনের সঙ্গে জড়িত না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে না?
এসব ওষুধ ফার্মেসিতে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা, বিশেষ করে মফস্বলের ফার্মেসিতে এ ধরনের ওষুধ দুই-তিন গুণ মুনাফা লাভের আশায় নির্বিঘ্নে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ওষুধ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে এবং জনগণকে নিত্যব্যবহার্য ওষুধ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মো. নাজমুল হুদা
শিক্ষার্থী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.