ক্রেতাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের নেতারা
স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ বছরের কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য একক অঙ্কের সুদহারে গৃহঋণ সুবিধা চেয়েছে দেশের আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব। এ জন্য আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনেরও দাবি করেছে সংগঠনটি। বাজেট সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে এ খাত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল রোববার সকালে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি রবিউল হক, লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ওহিদুজ্জামান প্রমুখ। অর্থ পাচার বন্ধে আগামী বাজেটে আবাসন খাতে শর্ত ছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করেন রিহ্যাবের সভাপতি। আগামী ১০ বছরের জন্য সুবিধাটি চেয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করা যায়। তবে কিছু সংস্থার প্রশ্ন করার সুযোগ রয়ে গেছে। এসব ক্ষেত্রে প্রশ্ন করলে উত্তর দেওয়াটা কঠিন। তাই প্রশ্ন করার সুযোগ থাকলে বিনিয়োগ আসবে না।’ এ ছাড়া ফ্ল্যাট ও প্লটের নিবন্ধন ফি কমানোর দাবি করেন আলমগীর শামসুল আলামিন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন-সংক্রান্ত ব্যয় ১৪ শতাংশ। তবে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে রেজিস্ট্রেশন বাবদ খরচ ৪ থেকে ৭ শতাংশের বেশি নয়। সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের সভাপতি আগামী বাজেটে শহর এলাকায় ৫ বছর ও শহরের বাইরের এলাকায় ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ-সুবিধা চেয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে শুধু জেলা শহরে শিল্প স্থাপনের জন্য কর অবকাশের ব্যবস্থা আছে। আগামী বাজেটে আবাসন খাতের জন্য কর অবকাশ-সুবিধা দেওয়া হলে ঢাকার বাইরে পরিকল্পিত আবাসন গড়ে উঠবে। এতে করে বিভাগীয় শহরের ওপর থেকে চাপ কমবে। সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করাও সহজ হবে। এ ছাড়া আবাসন খাতে সেকেন্ডারি বাজার সৃষ্টির জন্য প্রথম দফায় একটি ফ্ল্যাট বিক্রয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে পুনরায় তা বিক্রি হলে সে ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি এক শতাংশ করার কথা বলা হয় রিহ্যাবের পক্ষ থেকে। জমি ও নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে আবাসন ব্যবসায়ীদের মুনাফা হ্রাস পেয়েছে। এমন যুক্তিতে আগামী বাজেটে আয়কর যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি করছে রিহ্যাব। এ ছাড়া সম্পদ কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করার দাবি করেছে সংগঠনটি।

No comments

Powered by Blogger.