শিগগিরই সরাসরি আলোচনা

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা আবার শুরুর ব্যাপারে জোরালো আশাবাদ জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। গত শুক্রবার তিনি জর্ডানে জানান, আগামী সপ্তাহ বা এর কাছাকাছি কোনো সময়ে দুই পক্ষ ওয়াশিংটনে সরাসরি আলোচনায় বসছে। নতুন দফা মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসে জর্ডানের রাজধানী আম্মানের একটি হোটেলে চার দিন ধরে অবস্থান করেন জন কেরি ও তাঁর প্রতিনিধিদল। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। এরপর শুক্রবার রাতে শান্তি আলোচনা শুরুর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরাসরি বৈঠকের বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে উন্নীত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে এখনই তিনি সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলছেন না। প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা শান্তি আলোচনা আবার শুরুর প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পক্ষের আলোচকদেরই কৃতিত্ব দিয়েছেন কেরি। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে কাছাকাছি আনার জন্য দুই পক্ষের আলোচকেরাই মূল কাজটি করেছেন। কেরির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সরকারের কর্তৃপক্ষ। তবে ফিলিস্তিনের কট্টরপন্থী সংগঠন হামাস আলোচনায় ফিরে যাওয়ার বিরোধিতা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে বিমানে ওঠার ঠিক আগে আম্মানে সাংবাদিকদের জন কেরি বলেন, ‘আমি খুশি মনে জানাচ্ছি যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনায় বসার ব্যাপারে আমরা মতৈক্যে পৌঁছাতে পেরেছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক এক পদক্ষেপ।’ তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচক সায়েব এরেকাত ও ইসরায়েলের প্রধান আলোচক জিপি লিভনি আগামী সপ্তাহে বা এর কাছাকাছি কোনো সময়ে ওয়াশিংটনে সরাসরি আলোচনার প্রাথমিক পর্ব শুরু করবেন। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল মূল বিষয়ে খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কেরি। এরপর থেকে তিনি ছয়বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন। কেরির উদ্যোগের বিষয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা বলেন, শুক্রবার রামাল্লায় প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে কেরির বৈঠক হয়েছে। সেখানে শান্তি আলোচনা শুরুর ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। ইসরায়েলের বিচারমন্ত্রী ও প্রধান আলোচক লিভনি আলোচনা শুরুর ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী। তিনি বলেন, এটা একটা সুযোগ। তবে আমি জানি আলোচনা শুরু না হওয়া পর্যন্ত তা জটিল পর্যায়েই আছে।
কেরির উদ্যোগকে স্বাগত: কেরির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এই আলোচনা নিশ্চিতভাবে শুরু করতে উভয় পক্ষকে ‘সাহস ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টন বলেন, এটা খুব আশা জাগানিয়া বিষয় যে অবশেষে শান্তি আলোচনা আবার শুরুর ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.