মানসুরা শহরে রাতভর সংঘর্ষে নিহত ৩

মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে গত শুক্রবার মানসুরা শহরে রাতভর সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। মুরসিকে পুনর্বহালের দাবিতে গতকাল শনিবারও তাঁর হাজারো সমর্থক রাজধানীতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। গতকাল সকালে কায়রোর রাবা আল-আদাওয়াইয়া মসজিদ এলাকায় হাজারো মুরসি-সমর্থক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে নাইল ডেলটা অঞ্চলের মানসুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে তিনজন নিহত ও ছয়জন আহত হন। মিসরের সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আগামী দিনে কঠোর হাতে বিক্ষোভকারীদের দমন করা হবে। সেনাবাহিনী ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর আগে গত শুক্রবার মুরসির সমর্থকদের একাংশ কায়রোর রাবা আল-আদাওয়াইয়া মসজিদের কাছে জড়ো হন। রাতে সেখান থেকে অন্তত ১০ হাজার সমর্থক এলিট সেনা দপ্তরের দিকে যাত্রা করেন। তবে পথে সেনারা তাঁদের আটকে দেয়। কায়রোর উপকণ্ঠের নাসর শহরেও মুরসিপন্থীদের বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে মুরসির সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মী-সমর্থক ছাড়াও অন্য কয়েকটি ইসলামি দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। ব্রাদারহুডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান এসাম এল-আরিয়ান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জনগণের শক্তি রয়েছে। বিক্ষোভে শুধু দলীয় নেতা-কর্মীই নন, বরং সাধারণ নাগরিকেরা দলে দলে অংশ নিচ্ছেন।’
শুক্রবার বিকেলে মুরসির কয়েক শ সমর্থক প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে যেতে চাইলে সেনাসদস্যরা বাধা দেন। পরে তাঁরা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেন। কায়রোর অন্যান্য অংশেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। এদিন মিসরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়ায়ও মুরসির সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেন। মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সেনাবাহিনী অবৈধ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বলে অভিযোগ ব্রাদারহুডের। সিরিয়ার যুদ্ধে জড়াবে না মিসর: মিসরের অন্তর্বর্তী সরকারের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল ফাহমি গতকাল বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। তবে স্বাধীনতা লাভের জন্য দেশটির জনগণের ইচ্ছার প্রতি কায়রোর সমর্থন রয়েছে। গত মাসে কয়েকজন সুন্নি নেতা শিয়া প্রাধান্যপুষ্ট বাশার সরকার ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দেন। মুরসির সংগঠন ব্রাদারহুড এতে সমর্থন জানিয়েছিল। এএফপি ও আল-জাজিরা।

No comments

Powered by Blogger.