তিনটি চিঠি লিখে রেখে ফাঁসে ঝুলে গেলেন উপাধ্যক্ষ!
চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার মাত্র তিন দিন আগে রংপুর ক্যাডেট কলেজের উপাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন (৫৭) নিজের জীবন থেকেই চির অবসর নিয়ে নিলেন! গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ কোয়ার্টারে তাঁর শোবার ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যুর আগে তাঁর লিখে যাওয়া তিনটি চিঠি ওই ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা চিঠিগুলোর মধ্যে একটি কলেজ অধ্যক্ষকে, অন্য দুটি স্ত্রী ও ছেলের উদ্দেশে লিখে রেখে গেছেন উপাধ্যক্ষ। চিঠিতে আত্মহত্যার জন্য তিনি নিজেকেই দায়ী করেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাঁর স্ত্রী লুবনা হোসেন, কবি ও লেখিকা। একমাত্র ছেলে রথি হোসাইন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্র। এ ছাড়া রাওমে নামে তাঁর এক পালিত মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, উপাধ্যক্ষ দেলোয়ার ক্যাম্পাসের ভাইস প্রিন্সিপালস বাংলোর দোতলা একটি বাসায় থাকতেন। বাসার নিচতলায় স্ত্রী-সন্তানরা এবং ওপরের তলায় থাকতেন তিনি একা। গতকাল সকাল ১১টার দিকে সুইপার তাঁর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে ঘর বন্ধ। তখন সুইপার নিচে নেমে বিষয়টি দেলোয়ারের ছেলে রথি হোসাইনকে জানান। রথি ওপরে উঠে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান তাঁর বাবা লাশ হয়ে ঝুলছেন। এ সময় রথি চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে মাকে খবর দেন। পরে রথি ও সুইপার মিলে জানালা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে গলায় দড়ি পেঁচানো দেলোয়ার হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা ঘর তল্লাশি করে পায় ওই তিনটি চিঠি।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে জানান, দেড় বছর আগে বদলি হয়ে দেলোয়ার হোসেন এখানে আসেন। কেন এবং কী কারণে উপাধ্যক্ষ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন, তা তিনি বলতে পারছেন না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যাডেট কলেজে উপাধ্যক্ষের একাধিক সহকর্মী জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন ও পারিবারিক অশান্তির কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন দেলোয়ার।
কোতোয়ালি থানার ওসি আলতাফ হোসেন জানান, চিঠিগুলো পুলিশের কাছে আছে। চিঠিতে যেসব কথা লেখা রয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে দাম্পত্য জীবনে উপাধ্যক্ষ শান্তিতে ছিলেন না। অধ্যক্ষকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মৃত্যুর পর তাঁর প্রাপ্য অর্থসহ অন্যান্য বিষয়াদি যেন তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মৃত্যুর পর তাঁর লাশের যেন ময়নাতদন্ত করা না হয়। আর তাঁর দাফন যেন রংপুরেই করা হয়।
ওসি জানান, গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে দেলোয়ার হোসেনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ জানান, আগামী ২৭ নভেম্বর রবিবার উপাধ্যক্ষ দেলোয়ারের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তাঁকে বিদায় জানাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি বিদায় নিলেন। তিনি আরো জানান, গতকাল মাগরিবের নামাজের পর ক্যাম্পাসে জানাজা শেষে মুন্সীপাড়া কবরস্থানে উপাধ্যক্ষের লাশ দাফন করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে কলেজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে রংপুর ক্যাডেট কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রসন্ন কুমার পাল ক্যাম্পাসে তাঁর কোয়ার্টারে একইভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, উপাধ্যক্ষ দেলোয়ার ক্যাম্পাসের ভাইস প্রিন্সিপালস বাংলোর দোতলা একটি বাসায় থাকতেন। বাসার নিচতলায় স্ত্রী-সন্তানরা এবং ওপরের তলায় থাকতেন তিনি একা। গতকাল সকাল ১১টার দিকে সুইপার তাঁর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে ঘর বন্ধ। তখন সুইপার নিচে নেমে বিষয়টি দেলোয়ারের ছেলে রথি হোসাইনকে জানান। রথি ওপরে উঠে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান তাঁর বাবা লাশ হয়ে ঝুলছেন। এ সময় রথি চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে মাকে খবর দেন। পরে রথি ও সুইপার মিলে জানালা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে গলায় দড়ি পেঁচানো দেলোয়ার হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা ঘর তল্লাশি করে পায় ওই তিনটি চিঠি।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে জানান, দেড় বছর আগে বদলি হয়ে দেলোয়ার হোসেন এখানে আসেন। কেন এবং কী কারণে উপাধ্যক্ষ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন, তা তিনি বলতে পারছেন না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যাডেট কলেজে উপাধ্যক্ষের একাধিক সহকর্মী জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন ও পারিবারিক অশান্তির কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন দেলোয়ার।
কোতোয়ালি থানার ওসি আলতাফ হোসেন জানান, চিঠিগুলো পুলিশের কাছে আছে। চিঠিতে যেসব কথা লেখা রয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে দাম্পত্য জীবনে উপাধ্যক্ষ শান্তিতে ছিলেন না। অধ্যক্ষকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মৃত্যুর পর তাঁর প্রাপ্য অর্থসহ অন্যান্য বিষয়াদি যেন তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মৃত্যুর পর তাঁর লাশের যেন ময়নাতদন্ত করা না হয়। আর তাঁর দাফন যেন রংপুরেই করা হয়।
ওসি জানান, গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে দেলোয়ার হোসেনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ জানান, আগামী ২৭ নভেম্বর রবিবার উপাধ্যক্ষ দেলোয়ারের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তাঁকে বিদায় জানাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি বিদায় নিলেন। তিনি আরো জানান, গতকাল মাগরিবের নামাজের পর ক্যাম্পাসে জানাজা শেষে মুন্সীপাড়া কবরস্থানে উপাধ্যক্ষের লাশ দাফন করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে কলেজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে রংপুর ক্যাডেট কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রসন্ন কুমার পাল ক্যাম্পাসে তাঁর কোয়ার্টারে একইভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।
No comments