শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সমন্বিত কমিটি হবে

শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি আইনকানুন পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সঙ্গে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ালিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য এসইসি আমাদের ডেকেছিল। সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতার কারণে বাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তাঁদের শিক্ষিত করতে পারলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।
শেয়ারবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ব্যাপারে ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো বিনিয়োগ করছি এবং তা চালিয়ে যাব।’ এ ছাড়া বিনিয়োগ বাড়ানো, নতুন ইস্যু বাজারে নিয়ে আসার বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
পরে এসইসির পক্ষ এক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এসইসি বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বিএমবিএর নেতা ও মার্চেন্ট ব্যাংকের সিইওদের সঙ্গে বর্তমান বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে।
সাইফুর রহমান আরও বলেন, বৈঠকে একটি সমন্বিত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কমিটি পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের আরও শিক্ষিত করে তুলতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কমিশনের পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া ওই বৈঠকে গবেষণা ও পরামর্শসেবা উন্মুক্ত করে দেওয়া, মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক পরামর্শসেবা নিরূপণ করা, ডিসক্রিশনারি বা ঐচ্ছিক হিসাবধারীদের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যাতে আরও সুচিন্তিতভাবে পরামর্শ দেয়, সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
সাইফুর রহমান বলেন, বাজারে একটি গুজব ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিংগেল পার্টি এক্সপোজারের সময়সীমা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। তবে প্রকৃত বিষয় হলো এই সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। এটা নিতান্তই গুজব। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে সরকারি শেয়ার ছাড়া শুরু হয়েছে। এটা যাতে অব্যাহত থাকে, সে ব্যাপারেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.