প্রাপ্তির নাম আত্মবিশ্বাস

প্রথম বলে আউট হলে ভাগ্যকেই দোষেন ব্যাটসম্যানেরা। অলক কাপালি আর শুভাগত হোম চৌধুরীও নিশ্চয়ই দুষছেন। তবে অলকের চেয়ে শুভাগতের ভাগ্যটাই বেশি খারাপ। কাল ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে নাকি জাতীয় দলের কম্পিউটার বিশ্লেষক নাসির আহমেদের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শুভাগতের এলবিডব্লুটা হয়নি!
শুভাগতের এলবিডব্লু না হলে জন হেস্টিংসের হ্যাটট্রিকও হয় না। কিন্তু স্কোরকার্ডে তো আর এলবিডব্লু না হওয়ার কথা লেখা নেই, লেখা আছে হেস্টিংস হ্যাটট্রিক করেছেন! বিসিবি একাদশের অধিনায়ক অবশ্য শুধু হেস্টিংস না, অস্ট্রেলিয়া দলের কোনো বোলারের বলকেই খুব ভালো বললেন না, ‘হেস্টিংস ভালো আউট সুইং করায়। নইলে হেস্টিংস বা লি, কারও বলই আমার কাছে আহামরি কিছু মনে হয়নি। ওদের কোনো বোলারের বলই আমাদের উইকেটে খুব কার্যকর হবে না।’
রকিবুলের ব্যাটও তা বলছে। ১২ রানে দুই ওপেনার বিদায় নিলে মাইশুকুর আর তাঁর ১৪৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বিসিবি একাদশ। হেস্টিংসের ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ হ্যাটট্রিকের কারণে অবশ্য তার পরও লাভ হয়নি।
প্রথম দুই উইকেট দ্রুত পড়ে যাওয়াতেই বিসিবি একাদশের রানটা কম হয়েছে বলে ধারণা রকিবুলের। তার পরও প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে নিজেদের পারফরম্যান্সে খুব বেশি হতাশ নন বিসিবি একাদশ অধিনায়ক, ‘অলক ভাই আর শুভর (শুভাগত) ব্যাড লাক। নইলে আমরা ভালোই খেলেছি।’ ভাগ্যদোষে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের বোলিংটাকে সাদামাটা মনে হয়েছে শুভাগতের কাছেও, ‘ওরা বড় দল। ভালো বল তো করবেই বোলাররা। তবে তেমন কিছু মনে হয়নি আমার কাছে।’
অলকের সঙ্গী মাইশুকুর কালই প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কোনো দলের হয়ে খেললেন। অনূর্ধ্ব-১৯, একাডেমি বা ‘এ’ দলের হয়েও কোনো ম্যাচ না খেলা এই ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান ম্যাচ শেষে বলছিলেন, ‘শুরুতে একটু নার্ভাস থাকলেও খেলতে খেলতে তা কেটে গেছে। আমি বোলার দেখিনি, বল দেখেছি। বল বুঝে আমি আমার মতো ব্যাটিং করেছি।’
প্রতিপক্ষকে স্লেজিং করতেই বেশি অভ্যস্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরাও মুগ্ধ মাইশুকুরের ব্যাটিংয়ে। ফিফটির পর রিকি পন্টিং, ব্রেট লি, ব্র্যাড হাডিন সবারই অভিনন্দন পেয়েছেন। হাডিন তো নাকি সারাক্ষণই উইকেটের পেছন থেকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন তাঁকে!

No comments

Powered by Blogger.