প্রধান মুদ্রাগুলোর বিনিময় হারে মিশ্র প্রবণতা

দেশে গত সপ্তাহজুড়ে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে সরাসরি লেনদেনে মার্কিন ডলার ও স্থানীয় টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। সপ্তাহের শুরুতে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ৭২ টাকা ৮৬ পয়সায় লেনদেন হয় এবং সপ্তাহের শেষ লেনদেনেও একই হার বজায় থাকতে দেখা যায়।
আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহের (৯-১৫ এপ্রিল) শুরুতে ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরোর দর যথেষ্ট বাড়তির দিকে থাকলেও সপ্তাহের শেষে কিছুটা পড়ে যায়। আগের সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) সুুদের হার ১ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ২৫ শতাংশে বাড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বাড়ানোর তেমন কোনো ইঙ্গিত বাজারে না থাকায় ইউরো কিছুটা সমর্থন পেয়েছে বলে মনে করা হয়।
শুক্রবার জাপানি ইয়েন শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এতে মার্কিন ডলারের দর আরও পড়ে যায়। অন্যদিকে ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে ইউরোপীয় অঞ্চলের সুদের হারের পার্থক্য না কমার ধারণা থেকে ইউরোর দর ডলারের চেয়ে যতটা বাড়ার কথা, তা বাড়েনি।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শুক্রবারে প্রতি ডলার শূন্য দশমিক ৮৯৩২ সুইস ফ্রাঁ, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং ১ দশমিক ৬৩২৫ ডলারে এবং প্রতি ডলার ৮৩ দশমিক ১৯ ইয়েনের কাছাকাছি লেনদেন শেষ করে।
এদিকে দেশে আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও কলমানির (ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের কাছ থেকে নেওয়া স্বল্প মেয়াদের কর্জ) সুদের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশে লেনদেন হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপোর মাধ্যমে তহবিলের জোগান অব্যাহত রেখেছে। তিন দিনের ছুটির ঠিক আগে প্রথম পাক্ষিক শেষ ও দ্বিতীয় পাক্ষিকের শুরুতে ন্যূনতম নগদ সংরক্ষণ ঠিক রাখতে গত সপ্তাহের শেষে কলমানির বাজারে বাড়তি চাপ দেখা গেছে বলে বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন।
আলোচ্য সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৮২ দিন মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বিলের ৩৫০ কোটি টাকার নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নিলামে অন্তর্নিহিত সুদের হার ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশে নির্ধারিত হয়েছে, যা আগের নিলামের চেয়ে ২৯ বেসিস পয়েন্ট বেশি।

No comments

Powered by Blogger.