মেক্সিকান ওয়েভ তোলার সময়

সুসময় খুব কম আসে। তবে যখন আসে, প্রশংসা আর পিঠ চাপড়ে দেওয়ার লোকের অভাব হয় না! আপনজনদের সঙ্গে বাইরের লোকজনও মিলে যায় পাশে। দৃষ্টান্ত স্থাপনে জিনেদিন জিদানকেই তো পেয়ে গেছেন মেক্সিকানরা। ম্যাচ-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় স্বয়ং মেক্সিকান কোচ হাভিয়ের আগুরি বলেছেন, ‘খুবই ভারসাম্যপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি।’ অথচ ফরাসি মহানায়ক জিদান বলেছেন, মাঠে ফ্রান্সের চেয়ে মেক্সিকোই নাকি ছিল ভালো দল!
জিদানের এই প্রশংসাটুকুর কোনোই দরকার ছিল না। ফ্রান্সকে হারিয়ে উজ্জ্বল হয়েছে প্রথম লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন। ৬৪ মিনিটে প্রথম গোল করা হাভিয়ের হার্নান্দেজ যেমন বলেই দিয়েছেন, এই জয় মেক্সিকোকে গর্বিত করেছে। প্রথম গোল করেছেন, ম্যাচ শেষে হয়েছেন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ। কিন্তু এসব নয়, দলের জয়টাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই তরুণ স্ট্রাইকারকে বেশি খুশি করেছে, ‘গোল কিংবা ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার চেয়ে আমি বেশি খুশি আমরা জিতেছি বলে। আমি খুশি, আমরা দেশের মানুষকে জয় উপহার দিতে পেরেছি।’
জয়ে আনন্দ কার না হয়? কিন্তু তিনি তো কোচ! মেক্সিকান কোচ তাই রয়েসয়ে বলেছেন, ‘এটা ছিল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ একটি ম্যাচ। প্রথম গোলটি যারা করত, জিতে যেতে তারাই। আমাদের জন্য কঠিন এক জয় ছিল এটা।’ প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ ফ্রান্স কিছুটা হলেও উজ্জ্বল ছিল। এই সত্যটাও স্বীকার করেছেন আগুরি, ‘শুরুতেই ফ্রান্স চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকায় প্রথমার্ধ ছিল আমাদের জন্য কঠিন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাপারটি সহজ হয়ে যায়।’ অন্য দলগুলো যেখানে দুই সপ্তাহও একত্রে অনুশীলনের সুযোগ পায়নি, সেখানে আগুরি দলকে একত্রে অনুশীলন করাতে পেরেছেন টানা তিন মাস, বিশ্বকাপে দলের প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সের পেছনে এটাকেই বড় করে দেখছেন মেক্সিকান কোচ, ‘আমরা টানা তিন মাস একত্রে কাজ করেছি। ফলে দল একটা ভালো প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে গেছে। প্রথম লক্ষ্যে (দ্বিতীয় রাউন্ড) পৌঁছাতে আমাদের এখনো উরুগুয়ের বিপক্ষে ৯০ মিনিট সময় আছে।’
হার্নান্দেজের দৃষ্টিটা কোচের চেয়েও সুদূরে প্রসারিত, ‘আমরা অনেক দূরে যেতে চাই। এই জয় তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এখন আমরা উরুগুয়ের ম্যাচ নিয়েও চিন্তা করছি না। আমরা চাই মুহূর্তটি উপভোগ করতে।’

No comments

Powered by Blogger.