অমঙ্গল কাটাতে কুকুরছানার সঙ্গে বিয়ে

শিশুর অমঙ্গল হবে, আর সেই অমঙ্গল কাটানোর জন্য আদিবাসী বিধানমতে একটি তিন বছরের শিশুকন্যার সঙ্গে বিয়ে হলো একটি কুকুরছানার। একেবারে শাস্ত্রমতে ব্রাহ্মণ ডেকে এনে গায়ে হলুদ, মন্ত্রপাঠ, মালা বদল, শুভদৃষ্টির মাধ্যমে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার পূর্বসাগরনগর গ্রামে গত রোববার এ ঘটনা ঘটে। বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয় গ্রামের বহু মানুষকে।
পূর্বসাগরনগর গ্রামের বাপি হাঁসদা ও রেখা হাঁসদার তিন বছরের মেয়ে শকুন্তলার প্রথমে দাঁত ওঠে ওপরের পাটিতে। আর এটিই আদিবাসীদের মধ্যে অমঙ্গলের চিহ্ন। তারা বিশ্বাস করে, নিচের পাটিতে দাঁত উঠলেই তা শিশুকন্যার জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।
এই অমঙ্গলের হাত থেকে রক্ষার জন্য শকুন্তলার বাবা-মা গ্রাম্য মোড়লের শরণাপন্ন হন। মোড়ল সুরেন্দ্রনাথ হেমব্রম বিধান দেন, কুকুরের ছানা অথবা সাবড়াগাছের সঙ্গে শকুন্তলার বিয়ে দিতে হবে। তাতে রাজি হয় শকুন্তলার বাবা-মা। ঠিক করে কুকুরের সঙ্গেই বিয়ে দেবেন তিনি। সেই মতো জোগাড় করা হয় একটি কুকুরছানা। আদিবাসীদের কথা অনুযায়ী বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে যদি ওই কুকুরছানাটি মারা যায়, তবেই মঙ্গল হবে শকুন্তলার।

No comments

Powered by Blogger.