‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ সাঁতারে হ্যান্ড টাইমিং

পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও, নতুন সরকারের স্লোগানই হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। কিন্তু বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন পিছিয়ে যাচ্ছে! এসএ গেমসের মতো এত বড় একটা আন্তর্জাতিক আসরেও তারা শরণাপন্ন হচ্ছে হ্যান্ড টাইমিংয়ের। ইলেকট্রনিকস স্কোর বোর্ডে খেলার আশা ছেড়েই দিয়েছে ফেডারেশন। শেষ ভরসা হ্যান্ড টাইমিং। ফেডারেশনের কাছে ঢাল হয়ে এসেছে ফিনার আইন (সাঁতারের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা)। ফিনার আইনে হ্যান্ড টাইমিং চলতে পারে বলে ফেডারেশনও সাহস পাচ্ছে।
কাল দক্ষিণ এশীয় গেমসের সাঁতারের চূড়ান্ত দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রতিকূলতা টপকেই সোনা জেতার পুরোনো প্রতিশ্রুতি দিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। এবারের এসএ গেমসে সাঁতারে অংশ নিচ্ছে মোট ২১ জন, যাঁর মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ৭ জন মহিলা। পুরুষদের ১২টি এবং মহিলাদের ৭টি ইভেন্টে খেলা হবে। পুরুষদের ইভেন্টে ৩টি সোনা, ৯টি রুপা ও ৬টি ব্রোঞ্জ জেতার আশা করছে ফেডারেশন। ১টি সোনা, ১টি রুপা ও ৫টি ব্রোঞ্জের প্রত্যাশী মহিলারা। ২০০৪ সাফে সোনাজয়ী রুবেল রানা ৫০ ও ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক এবং ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে অংশ নিলেও ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকেই সোনা জেতার বেশি সম্ভাবনা তাঁর। এ ছাড়া জুয়েল আহমেদ, অনিক ইসলাম, ডলি আক্তার ও সবুরা খাতুনরাও নিজেদের সেরাটা দিতে উন্মুখ। গত আসরের সোনাজয়ী সাঁতারু শাজাহান আলী রনিকে নিয়ে এখনো উদ্বিগ্ন ফেডারেশন। জন্ডিস ‘ই’ আক্রান্ত রনি চিকিত্সা নিচ্ছেন আল-রাজি হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে সাঁতারে শেষ পর্যন্ত অংশ নিতে পারলেও নিজের সেরাটা দিতে পারবেন কি না, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
জুডো: গত কলম্বো আসরে এসএ গেমসে জুডোর প্রাপ্তি ছিল ২টি রুপা ও ৩টি ব্রোঞ্জ। তবে এবার দেশের মাটিতে সোনা জেতার প্রত্যাশাই জুডো খেলোয়াড়দের। অনূর্ধ্ব-৭৩ কেজিতে হাবিবুর রহমান এবং অনূর্ধ্ব-৮১ কেজিতে সুশীল চন্দ্রকে নিয়েই বেশি স্বপ্ন তাঁদের। কাল দল ঘোষণার সময় ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির তাঁদের কথাই বললেন বেশি। জুডোর ইরানি কোচ আখজর মোহাম্মদ রেজাও বেশ আশাবাদী খেলোয়াড়দের নিয়ে।

No comments

Powered by Blogger.