উরুগুয়ে ফিরছে ফেরা আলজেরিয়ারও

জন্ম নিয়েছেন ফ্রান্সে। ফুটবলে হাতেখড়ি ইন্টার মিলানের যুবদলে। কিন্তু খেলেন আলজেরিয়ার জাতীয় দলে। এমন বৈচিত্র্য আন্তার ইয়াহিয়ার খেলাতেও। খেলেন ডিফেন্ডারের ভূমিকায়, কিন্তু জার্মানির বোখাম ক্লাবের এই ফুটবলার মাঝেমধ্যেই আক্রমণভাগেও দেখা দেন ত্রাণকর্তার ভূমিকায়। আবারও ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন পরশু, এবার অবশ্য জাতীয় দলের জন্য। ৪০ মিনিটে করা তাঁর একমাত্র গোলেই মিসরকে ১-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল আলজেরিয়া।
১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর ২৩ বছরের অপেক্ষা ঘুচল আফ্রিকার দেশটির। আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠেয় প্রথম বিশ্বকাপে অন্য ৫ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গী হলো তারা। পরশু সুদানের খার্তুমে অনুষ্ঠিত একমাত্র প্লে-অফটি নিয়ে আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। নিশ্ছিদ্র পুলিশি পাহারায় ছিল যুদ্ধের আবহ। গত শনিবার মিসরের কায়রোতে দুই দলের শেষ গ্রুপ ম্যাচটির আগে একদল মিসরীয় হামলা করেছিল আলজেরিয়া দলের ওপর। আহত হয়েছিলেন পাঁচ খেলোয়াড়। দুই হামলার পাল্টা জবাবও দিয়েছে আলজেরীয় সমর্থকেরা।
ম্যাচ চলার সময় বেশ কয়েকবার উত্তেজনার আভাস দেখা দিলেও কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে খেলা। অবশ্য বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার আনন্দ উদ্যাপন করতে গিয়ে ফ্রান্সে আলজেরীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ইটপাটকেল নিক্ষেপ আর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আলজেরিয়ায় উত্সব চলছে। উত্সব উরুগুয়েতেও। প্রথম বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ-ভাগ্য ঝুলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যাওয়ায়। সেই স্বপ্ন তারা পুনরুদ্ধার করেছে পরশু কোস্টারিকার বিপক্ষে দুই লেগ মিলে ২-১ গোলে জিতে। প্রথম লেগটা ১-০ গোলে জিতে এসেছিল উরুগুয়ে। পরশু নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করার পরও তাই বিশ্বকাপে উঠে যাওয়ার পথে কোনো বাধা রইল না তাদের। ৬৫ মিনিটে বদলি হিসেবে নামার ৫ মিনিটের মাথায়ই গোল করেছিলেন ‘সুপার সাব’ সেবাস্তিয়ান অ্যাব্রু। ৭৪ মিনিটে সেন্টেনো গোল শোধ করে দিলেও জয় আর ছিনিয়ে নিতে পারেনি কোস্টারিকা। ৩২ নম্বর দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় শিরোপা জেতা উরুগুয়ে।

No comments

Powered by Blogger.