পামিরার পাখিরা আর ফিরবে না!

২০০২ সাল থেকে ‘নর্দান বলড আইবিস’ (উত্তরের টেকো আইবিস) নামের এ বিরল প্রজাতিকে পামিরার একটি প্রজনন কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা পামিরা দখল করার পর পাখিগুলো আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত সপ্তাহে লড়াই শুরু হওয়ার পর সংরক্ষণে রাখা পাখিকে রেখে দ্বাররক্ষীরা পালিয়ে গেলে এরপর পাখিগুলোর কি হয়েছে তা আর জানা যায়নি। নিরুদ্দেশ অপর একটি পাখির সংবাদ প্রদানের জন্য ১ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন কর্মকর্তারা।
লেবাননে প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতি বলেছে, জেনোবিয়া নামের একটি স্ত্রী-পাখির খোঁজ পাওয়া এখন খুবই জরুরি। এ প্রজাতির পাখিরা শীতকালে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং ইথিওপিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। জোনেবিয়াই এ প্রজাতির একমাত্র পাখি যে ইথিওপিয়া যাওয়ার সেই রাস্তাটি চেনে এবং তাকে ছাড়া অন্য বন্দি পাখিগুলোকে ছাড়া সম্ভব হবে না। পাখি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাখিগুলোকে ছাড়ানো সম্ভব না হলে সিরিয়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ‘সংস্কৃতি এবং প্রকৃতি হাতে হাত ধরে চলে। যুদ্ধ হয়তো বন্ধ হবে, কিন্তু এ প্রজাতিকে বিলুপ্তি থেকে কেউ ফিরিয়ে আনতে পারবে না’ বলেন প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতির প্রধান আসাদ সেরহাল।
আইবিস পাখি মধ্যপ্রাচ্যের গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলে আজ থেকে ১৮ লাখ বছর আগে থেকে বসবাস করে আসছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। প্রাকৃতিক পরিবেশে মানুষের আধিপত্যের কারণে এ প্রজাতির পাখি এখন বিলুপ্তপ্রায়। মধ্যপ্রাচ্যের মরুসীমায় সিরিয়ার পামিরাতেই এখন পর্যন্ত টিকে ছিল মাত্র চারটি পাখি। তাদের জন্য তৈরি করা হয় একটি ছোট্ট প্রজনন কেন্দ্র। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পামিরার আকাশে কয়েকটি আইবিস পাখি উড়তে দেখা যায়। তারপর তাদের মধ্যে চারটিকে ধরে প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হয়। কিন্তু প্রায় ১০ বছর হয়ে গেল মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে মুক্ত আইবিসের আর দেখা মেলেনি। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.