একদিন জবাবদিহি করতে হবে by সোহেল মাহমুদ

রাষ্ট্র গঠিত হয় একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর সাধারণ অভিপ্রায়ের তথা জেনারেল উইলের ভিত্তিতে। আর এটাই স্বাভাবিক, একটি রাষ্ট্রের সব নাগরিক সব বিষয়ে একমত না-ও হতে পারে। এ স্বতঃসিদ্ধ কথাটিকে মেনে নিয়েই বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশ্বে দীর্ঘকাল ধরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে রাষ্ট্র পরিচালনার একটি উত্তম পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল কথা হচ্ছে : নাগরিকদের বেশির ভাগের সম্মতির ভিত্তিতে তাদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনার তথা সরকারের দায়িত্ব নেবেন। এরা এক দিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব লাভ করবেন এবং তাদের নির্দিষ্ট সময়ের পরপর ভোটারদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সরকারের আরো দায়িত্ব হচ্ছেÑ তার সমালোচকদের বক্তব্য মনোযোগ ও মর্যাদা দিয়ে শুনতে হবে। কারণ সমালোচনাকারী ও সরকারবিরোধীরাও একই দেশের অধিবাসী এবং তাদেরও সমান অধিকার রয়েছে। আবার এটাও সঠিক, জনগণের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত পার্লামেন্টে গৃহীত আইন সবাই মেনে চলতে বাধ্য। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাকে আদালতের মুখ্মোুখি হতে হবে, যেখানে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। আর আদালত সরকারের মাধ্যমে প্রভাবিত না হয়ে ন্যায়বিচার পরিচালনা করবেন। এটা নিশ্চিত করতে রক্ষাকবচ হিসেবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা আজ সর্বজনবিদিত সত্য বলে গৃহীত একটি দর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিচার বিভাগ দেশের সংবিধানের রক্ষক হিসেবেও কাজ করে। যে সরকার বিরোধীদের সমালোচনা সহ্য করতে চায় না অথবা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে না, তাকে গণতান্ত্রিক সরকার বলা যায় না; এরূপ সরকার নিজেকে নির্বাচিত বলে দাবি করলেও নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় থাকতে হয়, নয়তো সেটি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে। আর জবাবদিহিতার উপযুক্ত স্থান হচ্ছে পার্লামেন্ট এবং চূড়ান্তভাবে ভোটার তথা নাগরিকদের ম্যান্ডেট লাভের জন্য তাদের মুখোমুখি হওয়া। সে জন্যই নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এত গুরুত্বপূর্ণ। পাশ্চাত্যে গণতান্ত্রিক দেশগুলো বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ একটা স্থিতিশীল পর্যায় পৌঁছেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের রাজনৈতিক শিক্ষা ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির দীক্ষা দিয়ে থাকে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো বেশির ভাগই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি। এর প্রধান কারণ কিছু রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের সামরিক শাখা জনগণের সম্মতি ছাড়াই ক্ষমতায় যেতে চায় বা টিকে থাকতে চায়। এই সুযোগ নিয়ে বিশ্বের উপনিবেশবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার দেশগুলো অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। এরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখে ফায়দা হাসিল করে। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের খনিজসম্পদ ও বাণিজ্যিক সুবিধা লাভের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে তারা ছলেবলে কূটকৌশলে ওইসব দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে রাখে। একদল বিশ্বাসঘাতক নাগরিক তাদের দালাল হিসেবে কাজ করে এবং তাতে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশে ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি একটি নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। সবাই বলছে, ওই নির্বাচন নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ছিল না। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা বলছে, জনগণ তাদের পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছে। তাদের দাবি যে সঠিক নয়, তার ভূরি ভূরি প্রমাণ রয়েছে। কোনো সূত্রই বলছে না যে, ৫-১০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এমনকি ২০০-এর মতো কেন্দ্রে কোনো ভোটার যায়নি। ১৫৪টি আসনে কোনো ভোট গ্রহণ করতে হয়নি। আরো ৫০টি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশন তা গ্রহণ করেনি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো প্রহসনের নির্বাচন হবে আশঙ্কা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। একই ধারণায় দেশী-বিদেশী নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরাও আসেননি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকার সমস্যার মূল বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। মজার বিষয় হচ্ছে, এরা আবার নিজেদের গণতান্ত্রিক দাবি করছেন। যারা এদের কর্মকাণ্ডের সমালোচক তাদের ‘গণতন্ত্রবিরোধী’ ও ‘সন্ত্রাসী’ বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি তাদের দমন করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে কঠোরভাবে ব্যবহার করছেন। বলা বাহুল্য, রাষ্ট্রের রয়েছে বিশাল অর্থভাণ্ডার এবং লৌহশক্তি, যা সরকার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার করে। যারাই ভোটারদের সম্মতিতে রাষ্ট্রীয় সুযোগ ও কর্তৃত্ব প্রয়োগের সুযোগ পায়, তারা জবাবদিহিতার সাথে কাজ করে। আর যারা জনগণের প্রকৃত সম্মতি ছাড়া রাষ্ট্রীয় সুযোগ ও কর্তৃত্ব প্রয়োগের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা জনগণের বন্ধু তো নয়ই; বরং তাদের সম্পদের ওপর অবৈধ দখলদার। এ সম্পদ ব্যবহার ও বণ্টনের কোনো আইনগত ও নৈতিক অধিকার তাদের নেই।
আজ ক্ষমতাসীনেরা রাষ্ট্রীয় শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে যেভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও অহঙ্কারের পরিচয় দিয়ে চলেছেন তা তো চিরস্থায়ী নয়। তাদেরও কৃতকর্মের জন্য একদিন জবাবদিহি করতে হবে। এবার দেখা যাক জবাবদিহির ক্ষেত্রগুলো কী কী হতে পারে :
প্রথমত, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করার ক্ষেত্রে সরকার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ‘জনতার মঞ্চ’ গঠন করে সিভিল প্রশাসনকে দলীয়করণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। এবারে দীর্ঘ দিনের জন্য প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে নিজেদের মতো সাজাতে আওয়ামী লীগ সরকার দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, কেবল পুলিশ বাহিনীতেই বিশেষ একটি জেলার কয়েক হাজার লোক নিয়োগ করা হয়েছে। সিভিল প্রশাসনের শত শত মেধাবী ও দক্ষ অফিসারকে পাঁচ-ছয় বছর ধরে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। সরকারের এমন কোনো বিভাগ বা দফতর নেই, যেখানে প্রচুর দলীয় লোক নিয়োগ করা হয়নি। এর মধ্যে পোস্টিং ও পদোন্নতিতে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের অফিসারেরা এগিয়ে আছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা দারুণভাবে প্রশ্নাতীত। সরকারের একজন উপদেষ্টা নিজেই তা প্রকাশ করে দিয়েছেন। একজন মন্ত্রী প্রকাশ্যেই বলেছেন, ছাত্রলীগ না করলে কারো চাকরি হবে না। সরকারের এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ সুস্পষ্টভাবে সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন। সরকারের এ ন্যায়ভ্রষ্ট কৃতকর্মের জন্য একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ছাত্রলীগ যেভাবে শাসন করেছে, তা-ও এক কথায় নজিরবিহীন। তাদের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে দলীয় সভানেত্রী নিজে ছাত্রলীগের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেন। কিন্তু এরপর তাদের শাসন করার কোনো দৃষ্টান্ত দেখা যায়নি। বরং বিশ্বজিৎ হত্যার মতো ভয়ঙ্কর অপকর্ম করতেও তারা কুণ্ঠিত হয়নি। বিশ্বজিৎ ছাড়াও তাদের হাতে অন্য ছাত্র সংগঠনের, এমনকি নিজ দলেরও বহু কর্মী খুন হয়েছে। পুলিশের ছত্রছায়ায় তাদের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া বহুবার পত্রিকার পাতায় ও টিভিতে দর্শক-শ্রোতারা দেখেছেন। এরা টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি করে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছে এবং দ্বিতীয়ত, তারা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উৎখাত করতে পেরেছে। এভাবে ছাত্রলীগের দুষ্কর্মকে প্রশ্রয় দেয়ার জন্য সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
তৃতীয়ত, সরকার সফলতার সাথে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব সবাই এমন কঠোরভাবে রাজনৈতিক বিরোধিতাকে দমন করছে, যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। কথায় কথায় গুলি করা যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, খুন, গ্রেফতার প্রভৃতি অপকর্মের জন্য কোনো কোনো বাহিনীকে দায়ী করে বহুবার বিবৃতি দিয়েছে। এরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য বলেছে। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন বাহিনীপ্রধান যে ভাষায় কথা বলছেন, তা এক দিকে চরম উসকানিমূলক এবং অপর দিকে বিশেষ দলের রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রতিধ্বনি। প্রায় প্রতিদিন কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে মারা হচ্ছে। এটা সুস্পষ্টভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন; যার কোনো জবাবদিহিতা নেই। সুতরাং পুলিশ ইনডেমনিটি নিয়ে কঠোর পথে চলছে। একটি মানুষের প্রাণ তা যিনিই হন না কেন, তার বাঁচার অধিকার আ্েছ। এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নামে বিভিন্ন স্থানে যেভাবে বাড়িঘর ভাঙচুর, গুলি, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হয়েছে। বিতর্কিত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা সরকার তার সমালোচকদের যেভাবে দমন করছে, সে জন্য একদিন তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
চতুর্থত, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশের যেকোনো জরিপ থেকে এটা সহজেই বলা যায় যে, দেশে দুর্নীতি বহুগুণ বেড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণের ধারণা। এটা এখন খুবই গ্রহণযোগ্য ধারণা, ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া কোনো সরকারি অফিসে কাজ হয় না। অর্থমন্ত্রী তো ঘুষকে জায়েজ বলে ফেলেছেন। এ ছাড়া শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ও ব্যাংকগুলোর অর্থ আত্মসাতের ঘটনাগুলো অস্বীকার করার সুযোগ কারো নেই। এটাও সত্য যে, বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা দুর্নীতির অভিযোগে সাহায্য প্রত্যাহার করেছে। সবার কাছে এটাও দৃশ্যমান যে, সরকারে যারাই আছে, তারা ফুলেফেঁপে কলাগাছ বনে গেছেন। আজ হোক কাল হোক এসবের জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি করতেই হবে।
পঞ্চমত, এই সরকার সবচেয়ে নেতিবাচক যে কাজটি করেছে তা হচ্ছে, সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথকে জটিল করে তোলা। ১৯৭৫ সালেও আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে একদলীয় শাসন চালু করেছিল। এরপর ২১ বছরে তারা ক্ষমতায় যেতে পারেনি। ১৯৯১ সালে গণ-আন্দোলনের মুখে সবার সম্মতিতে একটি কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে এরশাদকে বাধ্য করা হয়। আবার ১৯৯৬ সালে সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকারের ব্যবস্থা রাখার দাবিতে আওয়ামী লীগ জামায়াতের দাবির সাথে একমত হয়ে আন্দোলন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাজনৈতিক দলীয় সরকারের চেয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন অপেক্ষাকৃত সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এক ব্যক্তির ইচ্ছায় তা পরিবর্তন করা হয়। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছে তার দলের লোকেরাও আত্ম-প্রবঞ্চনা মেনে নেন। এমনকি দেশের প্রায় কোনো দলই এটা মেনে নেয়নি। সরকার আদালতের নির্দেশনাও অপব্যবহার করে। কেয়ারটেকার সরকার ও নির্বাচনব্যবস্থাকে কলুষিত করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকার জনগণের ইচ্ছাবিরোধী যে কাজ করেছে, সে জন্য তাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
ষষ্ঠত, কোনো উপযুক্ত কারণ ছাড়াই ‘আমার দেশ’ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হলো। তিনটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হলো। চারজন প্রভাবশালী মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারে শীর্ষ ব্যক্তিরা টিভি টকশোর আলোচকদের বিশ্রী ভাষায় কটাক্ষ করেন। কোনো কোনো আলোচক হামলার শিকার হন। সরকার সমর্থক টিভি চ্যানেলগুলোতে আলোচকদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সরকার যা করছে তার জন্য একদিন জবাবদিহি করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.