বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎ–সংযোগ by এ বি সফিউল আলম

(লালমনিরহাটের পাটগ্রাম-বুড়িমারী রেলপথের বুড়িমারী ইউনিয়নের গুড়িয়াটারী এলাকায় রেললাইনের দুপাশে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে l প্রথম আলো) লালমনিরহাটে পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেলপথের পূর্ব পাশের এলাকায় বিদ্যুৎ রয়েছে। তবে খুঁটি না থাকায় পশ্চিম পাশের এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। তাই পশ্চিমের লোকজন বাঁশের খুঁটি দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেলপথের দুই পাশে এলোমেলোভাবে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে লাইনের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিয়েছে বুড়িমারী ও পাটগ্রাম ইউনিয়নের ধবলসুতি, খানপাড়া, বেলতলী, ঘণ্টিঘর, গুড়িয়াটারী ও বুড়িমারী বাজারের লোকজন। রেললাইনের কারণে এই ছয় এলাকা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পূর্ব পাশের এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও পশ্চিম পাশের এলাকায় খুঁটি না থাকায় বিদ্যুৎ নেই। তাই এসব এলাকার বাসিন্দারা পূর্ব পাশ থেকে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে তার ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিয়েছে। ওই রেললাইনের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বৈদ্যুতিক খুঁটি না বসানোয় সেখাকার মানুষ এভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিয়ে জমিতে সেচ দেওয়াসহ নৈমিত্তিক কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন।
বিদ্যুৎহীন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, তাঁরা বিদ্যুতের জন্য ছয়-সাত বছর ধরে পিডিবির কার্যালয়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছে ধরনা দিয়েছেন। কিন্তু ফল পাচ্ছেন না।
পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোকলেছুর রহমান বলেন, প্রায় তিন বছর আগে ট্রেনের ছাদে বসায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ওই তারে জড়িয়ে মারা যান। এসব অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা প্রয়োজন। তবে এটা দেখভালের দায়িত্ব রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের।
লালমনিরহাট-বুড়িমারী সেকশনের তত্ত্বাবধায়ক লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী (ওএ) আবদুল লতিফ বলেন, এসব বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পিডিবির স্থানীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, গ্রামগুলোতে গরিব কৃষকেরা বিদ্যুতের লাইন টেনে শুধু কৃষিজমিতে সেচ দেয়। এরপর লাইন খুলে রাখে। এতে তেমন সমস্যা হয় না। তবে সেখানে খুঁটির প্রয়োজন রয়েছে।
পাটগ্রাম দোয়ানী বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) আনিছুর রহমান বলেন, ‘নতুন যোগদান করেছি। তাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পত্র দিয়েছে কি না তা জানা নেই। এ ছাড়া ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে বৈদ্যুতিক খুঁটির প্রয়োজন রয়েছে।’

No comments

Powered by Blogger.