আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে কংগ্রেস

ভোটের ফল প্রকাশের আগেই দুই প্রধান দল বিজেপি এবং কংগ্রেস শিবিরে সরকার গড়ার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গেছে। তবে বিজেপি শিবির অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী, তাই তারা প্রকাশ্যেই সরকার গড়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তুলনায় কংগ্রেসের উদ্যোগ অনেকটাই সীমিত। কংগ্রেসের উদ্যোগ সীমিত হলেও এরই মধ্যে দলের উচ্চপর্যায় থেকে আঞ্চলিক দলগুলোকে বাজিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহলের সূত্রে জানা গেছে, দিল্লি থেকে ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতারা যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তূণমূল নেতাদের ধারণা হয়েছে, কংগ্রেস এখনো মনে করছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২২০-২৩০ আসনের বেশি পাবে না। সেই আশায় ভর করে কংগ্রেস এখন আঞ্চলিক দলগুলোর সহায়তায় বিজেপিকে ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকেই নয়,
ওডিশায় নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, বিহারে িনতীশ কুমারের জনতা দল (সংযুক্ত), তামিলনাড়ুর জয়ললিতার এআইএডিএমকেসহ ছোট-বড় বেশ কয়েকটি দলের কাছেই কংগ্রেসের উচ্চপর্যায়ের তরফে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয়। তাড়াহুড়ো না করে তারা ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরের পরিস্থিতি ভালো করে খতিয়ে দেখতে আগ্রহী। তবে কেন্দ্রে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল যে নিজেও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পেতে চায়, সে কথা নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন। তৃণমূল সূত্র বলছে, বিজেপি শিবিরের একাংশের মধ্যেও এমন সংশয় রয়েছে, তারা জোট হিসেবে ২৭২ পেরোতে পারবে কি না৷ এ কারণেই নরেন্দ্র মোদি, রাজনাথ সিংরা এখনই সরকার গঠন নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক শুরু করায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) নেতারা বিচলিত। সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত এই কারণেই মোদি,রাজনাথকে আগে আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা বলে সঙ্গে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে চাপ দিচ্ছেন।

No comments

Powered by Blogger.