যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী আটক-সুষ্ঠু তদন্ত ও স্বচ্ছ বিচারেই সমাধান

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার কথিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের আটক হওয়ার ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। এর ফলে ওই দেশে বসবাসরত এবং সেখানকার ভিসাপ্রার্থী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা অমূলক নয়।


একই সঙ্গে আমাদের দেশের একজন নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকারের প্রশ্নটিও অগ্রাহ্য করা যায় না। আমরা আশা করি, এই ঘটনা তদন্তে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ব্যত্যয় হবে না। বিশেষ করে এফবিআই নাফিসকে যে 'স্টিং অপারেশন' চালিয়ে আটক করেছে, তা নিয়ে বেশ সমালোচনা রয়েছে। এ ধরনের অপারেশন নিয়ে মার্কিন আদালতই ইতিপূর্বে প্রশ্ন তুলেছিলেন। নাফিস নিজেও এই ঘটনাটিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। আমরা মনে করি, নাফিস যদি তদন্তে অপরাধী প্রমাণ হন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে তার বিচার হতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের সরকারও অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এখন নাফিস যাতে পূর্ণ আইনি সহযোগিতা ও অধিকার পান, সেদিকে সবার দৃষ্টি থাকতে হবে। একই সঙ্গে আমরা মার্কিন কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলির এই কথায় আশ্বস্ত হতে চাই যে, এ ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা জানি, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশ তার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা নিজেরাও সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয়। বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বিভিন্ন ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, সন্ত্রাসবাদী হামলার চক্রান্তে চক্রান্তে নাফিসের জড়িত থাকার অভিযোগ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নাফিসের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড জুরি বোর্ডে গেছে। নাফিসের বিষয়টি আমরা আশা করি, সর্বোচ্চ এই বোর্ডে গেছে। আমরা আশা করি সর্বোচ্চ এই বোর্ডের অভিমতসাপেক্ষে আদালতে অভিযোগ উত্থাপন এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এর অবসান হবে।
 

No comments

Powered by Blogger.