কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতা প্রস্তাব

কুয়েতের বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা গতকাল বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের মোহাম্মাদ আল-আহমাদ আল সাবাহ্র বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা প্রস্তাব’ এনেছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি পার্লামেন্টে এ প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে। পার্লামেন্টের স্পিকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা মঙ্গলবার এক গোপন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপরই তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার প্রস্তাব আনেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অসহযোগিতার প্রস্তাবটি তাঁকে অপসারণের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এ প্রস্তাব অনুমোদন হতে হলে বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতাদের ৫০ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হবে। প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে পরে তা বাদশাহর কাছে পাঠানো হবে। বাদশাহ-ই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হবে নাকি পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন এবং নতুন নির্বাচনের ডাক দেবেন কি না?
গত ৮ ডিসেম্বর বিরোধী দলের কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি শোভাযাত্রা বের করেন। এ সময় কুয়েতের এলিট ফোর্সের সদস্যরা তাঁদের লাঠিপেটা করে। এতে কমপক্ষে চারজন আইনপ্রণেতা ও ১২ জন ছাত্র আহত হন। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তোলা হয়। তবে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই শোভাযাত্রাটি বেরা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের আল-সাবাহ কুয়েতের বাদশাহ শেখ সাবাহ্ আল-আহমাদ আল-সাবাহ্র ভাতিজা। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই থেকে নানামুখী রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.