নিন্দিত, ধিকৃত পন্টিং

ব্যাটে রানখরা থাকতেই পারে, খারাপ সময়ও সবার আসে। দুবার আউট হয়েছেন লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে, তিনবার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে—চাইলে রানখরার জন্য ভাগ্যকেও দুষতে পারেন। কিন্তু আচরণ তো আর ব্যাটিং ফর্ম নয় যে ওঠা-নামা থাকবে। নিজের আচরণ সম্পূর্ণই নিজের নিয়ন্ত্রণে, এতে গড়বড় হলে প্রতিফলও পেতে হয়। যেমন পাচ্ছেন রিকি পন্টিং। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মনঃপূত না হওয়ায় মেলবোর্ন টেস্টের দ্বিতীয় দিন তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন আম্পায়ার আলিম দারের সঙ্গে। জরিমানা, ম্যাচ রেফারির তিরস্কারের সঙ্গে নিন্দার ঝড়ও সামলাতে হচ্ছে। পন্টিং অবশ্য মাথা পেতে নিয়েছেন নিজের অপরাধ।
ওই ঘটনার সময় ধারাভাষ্যকক্ষে বসেই পন্টিংয়ের সমালোচনা করেছিলেন সাবেক দুই অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল ও মার্ক টেলর। বড় চ্যাপেল পরে দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় নিজের কলামে লিখেছেন, ‘আমার ধারণা, এটা বহিষ্কৃত হওয়ার মতো অপরাধ। এমন নয় যে সে (পন্টিং) প্রথম এমনটা করল। এ জন্য আইসিসিই দায়ী। এসব পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে প্রথমবার করার সময়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’ পন্টিংয়ের এমন আচরণের কোনো যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁর প্রথম টেস্ট অধিনায়ক টেলর, ‘সিদ্ধান্তটা দিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার, মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করে কী লাভ? এমন তো নয় যে তিনি সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে দিতে পারবেন!’ ক্রিকেট লেখক পিটার রোবাক তো পন্টিংয়ের শেষই দেখে ফেলেছেন, ‘আগে হোক বা পরে, সব অধিনায়কেরই সময় একদিন শেষ হয়। সে খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। এভাবে প্রকাশ্যে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তর্ক করা কোনো অধিনায়কের উচিত নয়।’
পন্টিং দোষ স্বীকার করেছেন, তবে নিজের পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন, ‘বুঝতে পেরেছি, কাল (পরশু) আমি সীমা লঙ্ঘন করেছি। রাতে ঘটনাটা দেখে আমার নিজেরও ভালো লাগেনি। বুঝতে পেরেছি, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে অন্য অধিনায়ক ও তরুণদের সামনে আমি বাজে উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। শুনানিতে আমাকে জরিমানা করার সঙ্গে সঙ্গে আমি তা মেনে নিয়েছি। আম্পায়াররা কিন্তু বলেছে, আমার আচরণ আগ্রাসী বা খারাপ কিছু ছিল না, শুধু আলোচনাটা একটু দীর্ঘ করেছিলাম।’

No comments

Powered by Blogger.