ক্রিকেটের দশক-সেরা

টেস্ট-ওয়ানডে দুটোতেই গত ১০ বছরে সর্বোচ্চ রান তাঁর। এই সময়ে দুই ধরনের ক্রিকেটেই ৯০০০ রান করেছেন একমাত্র তিনিই। জ্যাক ক্যালিস, মুত্তিয়া মুরালিধরন, শচীন টেন্ডুলকারদের পেছনে ফেলে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের (২০০০-০৯) সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তাই রিকি পন্টিংই। দশক-সেরা ক্রিকেটার নির্বাচনের কাজটি করেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।
ক্রিকইনফোর জুরি বোর্ডে ছিলেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, ক্রিকেট লেখক মিলিয়ে মোট ৩৮ জন। ছিলেন ইয়ান চ্যাপেল, টনি কোজিয়ার, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, জাভাগাল শ্রীনাথ, টম মুডি, জিওফ বয়কট, রশিদ লতিফ, মুশতাক আহমেদ, শিল্ড বেরি, টনি গ্রেগ, রমিজ রাজা, পিটার রোবাক, গ্রাহাম গুচের মতো ক্রিকেট-ব্যক্তিত্বরা। বাংলাদেশেরও একজন ছিলেন—আতহার আলী খান।
প্রত্যেকে তিনজন করে ক্রিকেটারকে ভোট দিয়েছেন। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের জন্য ছিল যথাক্রমে ৩, ২ ও ১ পয়েন্ট করে। ৬০ পয়েন্ট পাওয়া পন্টিংকে এক নম্বরে রেখেছেন সর্বোচ্চ ১৩ জন জুরি। পন্টিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি হবেন বলে ভাবা হচ্ছিল, সেই ক্যালিস ৫ জনের চোখে সেরা হয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ৩৭ পয়েন্ট পেয়ে। অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে শীর্ষে রেখেছেন ৭ জন, যদিও মোট পয়েন্টে তিনি ক্যালিসের পরে। ৩ জন করে জুরি শীর্ষে রাখেন টেন্ডুলকার, ম্যাকগ্রা, মুরালিধরন ও ওয়ার্নকে। একটাও ভোট পাননি তালিকায় থাকা সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে, হেইডেন, গ্রায়েম স্মিথ, ইনজামাম ও ইউসুফ।
‘আমি ভীষণ রোমাঞ্চিত। এমন একটা সময়ে আমি খেলেছি, যখন খেলাটার সর্বকালের সেরা রান ও উইকেট সংগ্রহকারীরা খেলেছে। তাদের ছাড়িয়ে দশক-সেরা হওয়ায় অর্জনটা আরও স্পেশাল হয়ে উঠেছে’—প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন পন্টিং।

No comments

Powered by Blogger.