জর্জেভিচের ক্যাম্পে কাঞ্চন রজনী-বিপ্লবদেরও ডাক

আরিফ, সৈকত, মারুফ, মোস্তাক ও শাহেদ চলে গেছেন নিজ নিজ ঠিকানায়। ইনজুরিগ্রস্ত এই ফুটবলাররা নিজেরাই ‘ফিট হয়ে ফিরে আসতে চাই’ বলার পর রাজি হয়ে যান জোরান জর্জেভিচ। সার্বিয়ান কোচের একটা আশ্বাসবাণী সঙ্গে নিয়ে কাল এই পাঁচজন বিকেএসপিতে চলমান অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দলের এসএ গেমস ক্যাম্প ছেড়েছেন। ফিট হয়ে গেলে তাঁদের ক্যাম্পে যোগ দিতে বলেছেন কোচ।
৫ জন বিদায় নেওয়ায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে খেলোয়াড়ের সংখ্যা দাঁড়ানোর কথা ৩২। কিন্তু তা হলো ৩৪। অনেক দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা স্ট্রাইকার কাঞ্চন (মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়ক) এবং ফরাশগঞ্জের ডিফেন্ডার রেজাউল সুযোগ পেয়ে কাল ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। শুধু এই দুজনই নয়, আরও চারজন খেলোয়াড়কে ক্যাম্পে ডাকার জন্য বাফুফের কাছে চাহিদাপত্র দিয়েছেন নতুন কোচ।
এটা জানা গেল বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হাসানুজ্জামান বাবলুর কাছ থেকে, ‘রজনী-বিপ্লব-উজ্জ্বল-প্রাণতোষকে চেয়েছেন কোচ। তাঁদের ডাকার ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা কমিটি হয়তো আজ-কালের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে। যেহেতু এসএ গেমসের পরপরই এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। হাতে সময় একদমই নেই। তাই অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পাশাপাশি এখনই জাতীয় দল তৈরির ব্যাপারটিও মাথায় রাখছেন নতুন কোচ।’
আর সেই পরিকল্পনা থেকেই গত দুই দিনে শুধু ম্যাচ প্র্যাকটিসই করানো হলো। কিছু খেলোয়াড় কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা আছে কোচের। নতুন কোচ কেমন? স্ট্রাইকার এমিলি কাল সন্ধ্যায় ফোনে বললেন, ‘দুই দিনে সব বোঝা যাবে না। কিন্তু মনে হচ্ছে কোচ ভালো। মূলত তাঁর একজন সহকারীই হাতে-কলমে করাচ্ছেন সব। টেকনিক্যাল দিকগুলো উনি দেখাচ্ছেন, খুবই ভালো হচ্ছে সবকিছু।’
ক্যাম্প ছেড়ে আসা তরুণ মারুফের কথাও প্রায় একই। সাফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে ক্ষোভ ছিল তাঁর। বলেছিলেন, কোচ (সাহীদুর রহমান সান্টু) নাকি তাঁকে চিনতেনই না। ‘তাহলে বাদ পড়লাম কীভাবে’—প্রশ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু এবার বললেন, ‘খুবই ভালো ব্যবহার করেছেন কোচ। বলেছেন, তোমাদের জন্য আমার দরজা খোলা।

No comments

Powered by Blogger.