জয়ে ফিরল আলজেরিয়া, গ্যাবনের চমক

মাঝখানে এক দিনের জন্য যেন দম নিয়েছে। এক দিন বিরতির পরই আবারও আফ্রিকান নেশনস কাপে অঘটন। পরশু চারবারের চ্যাম্পিয়ন ক্যামেরুনকে ০-১ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে গ্যাবন। দিনের অন্য ম্যাচে ২০০৪ আসরের চ্যাম্পিয়ন তিউনিশিয়া ১-১ গোলে ড্র করেছে জাম্বিয়ার সঙ্গে।
এদিকে প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে উঠেছে আলজেরিয়া। কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচে মালাউইর কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল আলজেরিয়া। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ৪-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও অ্যাঙ্গোলার সঙ্গে ৪-৪ গোলে ড্র করেছিল মালি।
প্রথম ম্যাচের দল থেকে কাল দুটো পরিবর্তন এনেছিলেন আলজেরিয়ার কোচ রাবাহ সাদানে। আর মালির নাইজেরিয়ান কোচ স্টিফেন কেশি প্রথম ম্যাচের দল থেকে সেরা একাদশের বাইরে রেখেছিলেন ছয়জনকে। এঁদের মধ্যে ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা ফ্রেডেরিক কানুটেও। ম্যাচের একমাত্র গোলটি হয়েছে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার দু মিনিট আগে। ৩০ মিটার দূর থেকে নেওয়া জিয়ানির একটি ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন ডিফেন্ডার রাফিক হালিচে।
মাঠের বাইরে টোগো দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার কালো ছায়া নিয়ে অ্যাঙ্গোলায় শুরু হয়েছে আফ্রিকান নেশনস কাপের ২৭তম আসর। মাঠেও ফেবারিটরা ‘হামলা’র শিকার হচ্ছে ‘আন্ডারডগ’দের। উদ্বোধনী ম্যাচে ০-৪ গোলে এগিয়ে গিয়েও স্বাগতিক অ্যাঙ্গোলা জিততে পারেনি, ৪-৪ গোলে ড্র করেছে মালির বিপক্ষে। পরদিন আলজেরিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চমকে দিয়েছে মালাবি। আর আইভরিকোস্টকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে বার্কিনা ফাসো। টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিনটা কেবল অঘটনবিহীন কেটেছে। গত দুবারের চ্যাম্পিয়ন মিসর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় দিয়েই শুরু করেছে যাত্রা।
এবার ইন্টার মিলানের তারকা স্ট্রাইকার স্যামুয়েল ইতোর দলও অঘটনের শিকার। ১৭ মিনিটে গ্যাবন স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল কাজিনের গোল শেষ পর্যন্ত আর শোধ করে উঠতে পারেনি কাগজ-কলমে আফ্রিকার সবচেয়ে শক্তিশালী দলটি। গ্যাবনের কাছ থেকে নিশ্চিত তিনটা পয়েন্টের হিসাব করে রেখেছিলেন ক্যামেরুন কোচ। পল লে গুয়েনের সেই হিসাব এখন ওলটপালট হয়ে গেল। পরের ম্যাচটা হেরে গেলে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিতে হবে ১৯৮৪, ১৯৮৮, ২০০০ আর ২০০২ আসরের চ্যাম্পিয়নদের।
গুয়েন অবশ্য ‘সব শেষ হয়ে যায়নি’ বলে শিষ্যদের উদ্দীপ্ত করছেন। ইতোর কণ্ঠেও সেই সুর। তবে ম্যাচটা সবচেয়ে বেশি হতাশার গেল ক্যামেরুনের বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার রিগোবার্ট সংয়ের জন্য। রেকর্ড অষ্টম নেশনস কাপে খেলার রেকর্ড তিনি এই ম্যাচেই করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.