জয়ের সুবাস পাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড

গত রাত একটায় এ রিপোর্ট খেলা পর্যন্ত আবুধাবিতে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ ১-১ হতে চলেছিল। নিউজিল্যান্ডের ৩০৩ রানের জবাবে ৩৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। বাকি ১৫ ওভারে ১৪৫ রান করে এই ম্যাচ জিতে যাবে পাকিস্তান—এটা তখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সমর্থকেরাও আশা করতে পারছিল না।
নিউজিল্যান্ডকে শক্ত একটা জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছিল ব্রেন্ডন ম্যককালামের সেঞ্চুরি। তারপর পাকিস্তানের শুরুটাও খারাপ হয়নি, সালমান বাট আর খালিদ লতিফের উদ্বোধনী জুটিতে ৭৭ রান। দলীয় ১২৪ রানে বিদায় নিলেন ইউনুস খান। এক রান যোগ হতেই প্রবল বলে বিদায় গত ম্যাচের নায়ক শহিদ আফ্রিদির। ম্যাচ থেকেও যেন বিদায়ের ঘণ্টা বাজল পাকিস্তানের।
এর আগে সেঞ্চরির পর ব্রেন্ডন ম্যাককালামের উল্লাসটা কি একটু বাড়াবাড়িই মনে হয়েছে আপনার? হয়ে থাকলে সেটি ক্ষমার দৃষ্টিতেই দেখুন। কারণ ১৬২ ম্যাচের এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মাত্রই দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন ম্যাককালাম। প্রথমটি আয়ারল্যান্ডের মতো পুঁচকে দলের বিপক্ষে করেছিলেন। বড় দলের বিপক্ষে এই প্রথম। সেই প্রথমের উদ্যাপন তো একটু লাগামছাড়া হবেই।
ম্যাককালামের ১২৯ বলে ১৪টি চার আর ৩টি ছক্কায় ১৩১, মার্টিন গাপটিলের ৬২ আর ভেট্টোরি-ওরামের দুটি ছোট্ট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে গেছে তিন শর ওপরে। আগের সর্বশেষ ৯ ইনিংসে কোনো ফিফটি দেখেনি ম্যাককালামের ব্যাট। এমন এক দিনে এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান ফর্মে ফিরলেন, যখন ৩ ম্যাচ সিরিজে ০-১-এ পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড জয় পেতে ছিল মরিয়া।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামটা ঠিক রানপ্রসবা নয়। এর আগে এখানে ৩০০ পেরোনো স্কোর একটাই হয়েছে, সেটিও প্রথমে ব্যাট করেই। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার সময় ইউনুস খানকে কি চিন্তাগ্রস্ত দেখাল সে কারণেই?
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০৩/৮ (ম্যাককালাম ১৩১, গাপটিল ৬২, ভেট্টোরি ৩০, ওরাম ৩৩*; গুল ২/৫৯, রাজ্জাক ২/৬০, আফ্রিদি ২/৪৯)।
পাকিস্তান: ৩৫ ওভারে ১৫৯/৬ (বাট ৫৯, লতিফ ৪৫, ইউনুস ১৯, আফ্রিদি ০, আকমল ৪, ইউসুফ ১৮, মালিক ৭*, রাজ্জাক ১*, অতিরিক্ত ৬। স্ট্রাইরিশ ৩/২৩, ভেট্টরি ২/৩৭।) * অসমাপ্ত

No comments

Powered by Blogger.